বাবা ছাড়লেন দল, ছেলে কোন পথে, নয়া জল্পনায় কী জানালেন ‘তৃণমূল বিধায়ক’ শুভ্রাংশু
মুকুল রায় দল ছাড়ার পরই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে পড়ে, বাবা ইস্তফা দিয়েছেন, এবার ছেলের অবস্থান কী হবে দলে? শুভ্রাংশুর ভবিষ্যৎও তৃণমূলে প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়।
বাবার পদত্যাগে আদৌ বিচলিত নন শুভ্রাংশু রায়। দলের একদা সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই তাঁর প্রতিক্রিয়ায় ছেলে শুভ্রাংশু জানিয়ে দিলেন- 'তিনি তৃণমূলে আছেন, তৃণমূলেই থাকবেন।' তবে বাবার পদত্যাগ নিয়ে তিনি মুখ খুলতে চাননি। শুধু জানালেন, 'এ ব্যাপারে আমার কিছুই বলার নেই। যা বলার বলবেন দলের উর্ধ্বতন নেতৃত্ব।'
মুকুল রায় দল ছাড়ার পরই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে পড়ে, বাবা ইস্তফা দিয়েছেন, এবার ছেলের অবস্থান কী হবে দলে? বাবা সাংসদ, ছেলে বিধায়ক। বাবার ছত্রছায়াতেই রাজনৈতিক পাঠ শুরু করেছিলেন তিনি। তাই মুকুল রায় দল ছাড়ায় ছেলে শুভ্রাংশুর ভবিষ্যৎও তৃণমূলে প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়।
কিন্তু বিতর্ক বাড়তে না দিয়ে আগেভাগে শুভ্রাংশু স্টেট ব্যাটেই খেললেন। সপাটে বাউন্ডারির বাইরে বল ফেলে তিনি জানিয়ে দিলেন, 'তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন না। তিনি তৃণমূলে ছিলেন, তৃণমূলে আছেন, তৃমমূলেই থাকবেন।' এর আগে মুকুল রায় সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার পরও দলে যখন কোণঠাসা, একই অবস্থান নিয়েছিলেন শুভ্রাংশু। বাবার সঙ্গে তৃণমূলের বনিবনা না থাকলেও শুভ্রাংশু তৃণমূলে বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন।
এমনকী পরবর্তী সময়ে মুকুল রায় যখন নতুন দল করতে চলেছিলেন, তখন শুভ্রাংশুকে ঢাল করেই তৃণমূল তা রুখেছিল। সেই সময় তৃণমূলে অবধারিত ছিল ভাঙন। তা রুখে ফের ২০১৬-তে স্বমহিমায় ক্ষমতায় ফিরেছিল তৃণমূল। মুকুল রায়ও পরবর্তী সময়ে গুরুত্ব বাড়িয়েছিলেন দলে। ফিরে পেয়েছিলেন হারানো অনেকটা জায়গাই।
কিন্তু ফের একবার তৃণমূলে কোণঠাসা হয়ে ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেই বসলেন মুকুল রায়। এবারও কিন্তু বীজপুরের বিধায়ক ছেলে শুভ্রাংশুর অবস্থান তৃণমূলের পক্ষেই। এবারও বাবার পাশে দাঁড়ালেন না তিনি। পিতা-পুত্র দু-জনের রাজনৈতিক অবস্থান বদলে গেল অচিরেই। পথ চলাও আলাদা হয়ে গেল। সেই পথ ভবিষ্যতে মেলে কি না তার উত্তর দেবে ভবিষ্যৎই।