মুকুল রায়কে টেক্কা দিলীপ ঘোষের! আসন্ন পুরভোটে প্রার্থী হবেন বিজেপির হেভিওয়েটরা, স্থির সিদ্ধান্ত
মুকুলই টেক্কা দিলেন, আসন্ন পুরভোটের লড়াইয়ের কৌশল নিরূপণে ‘ব্যাকফুটে’ দিলীপরা
পুরসভা ভোটের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। রাজনৈতিক দলগুলি চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছে প্রার্থী পদ নিয়েও। বঙ্গ বিজেপি সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা ভোটে হেভিওয়েট প্রার্থীদের ময়দানে নামাতে। মুকুল রায় এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন অনেক আগেই। অমিত শাহ মুকুল রায়ের উপর ভরসা রাখায়, ফের তাঁর মতই বঙ্গ বিজেপিতে মান্যতা পেল আবার।
মুকুল যখন নির্বাচন কমিটির প্রধান
বিজেপি আগেভাগে পুরভোট নিয়ে গঠন করেছিল নির্বাচন কমিটি। সেই নির্বাচন কমিটির মাথায় বসানো হয় মুকুল রায়কে। পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটের পর পুরসভা ভোটেও মুকুলের উপর দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপি। তারপরই প্রার্থীপদে কে বা কারা বেশি গ্রহণযোগ্য হবে, তা নিয়ে শুরু হয় অন্তর্দ্বন্দ্ব।
অন্তর্দ্বন্দ্ব মিটিয়ে চটজলদি সিদ্ধান্ত বিজেপির
সেই অন্তর্দ্বন্দ্ব মিটিয়ে বিজেপি চটজলদি স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। সেখানে মান্যতা পেয়েছে মুকুল রায় মত। সেই মতো বিজেপিতে হেভিওয়েট নেতাদের প্রার্থী করে চমক দিতে চাইছেন মুকুল রায়। তিনি তৃণমূলে যে কৌশল প্রয়োগ করে সাফল্য এনেছিলেন। আবারও সেই কৌশলেই বাজিমাত করতে তিনি বদ্ধপরিকর।
একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে গেরুয়া শিবির
ভোট টানতে কাদের উপর ভরসা করবে বিজেপি! তা নিয়েই এখন দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। কে হবেন পারের কর্তা! ভোট টানতে তারকা-মুখ, নাকি হার্ডখোর রাজনৈতিক নেতাদেরই প্রার্থী করে নামানো হবে ময়দানে, তা স্থির করতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল বিজেপিকে। শেষমেশ আর দেরি না করে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে গেরুয়া শিবির।
দ্বিমত ছিল দিলীপ ও মুকুলের
বিজেপির একটা পক্ষ চাইছিল, তারকা প্রার্থী করে পুরসভা ভোটে তৃণমূলকে মাত দিতে। আর একটা পক্ষ চাইছিল ২০২১ বিধানসভা ভোটের দিকে চেয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরই প্রার্থী করতে। এখন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপির নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং নির্বাচন কমিটির প্রধান মুকুল রায় তা নিয়ে দ্বিমত ছিলেন।
রাজনৈতিক নেতাদেরই সর্বাধিক গুরুত্ব
গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির একদল তারকা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সম্প্রতি। রাজনৈতিক মহল তখনই মনে করেছিল, তাঁদের আসন্ন পুরভোটে প্রার্থী করা হতে পারে। সেই ধারণা যে একেবারেই অমূলক নয়, তা বোঝা গেল বিজেপির ভাবনায়। তবে বিজেপিতে তা নিয়ে মতানৈক্য ছিল। এখন রাজনৈতিক নেতারাই সর্বাধিক গুরুত্ব পেতে চলেছেন।
বড় নাম পুরভোটে এনে চমক চান মুকুল
এক শ্রেণির পরিকল্পনা অভিনেতা-অভিনেত্রী, খেলোয়াড়, সঙ্গীতশিল্পীদের বিধানসভা ভোটে টিকিট দেওয়া, তারকা প্রার্থীদের এনে চমক দেওয়াই বিজেপির একাংশের লক্ষ্য ছিল। বিজেপির এই কৌশলকে অবশ্য আমল দিচ্ছেন না নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক মুকুল রায়। তিনি চাইছেন হেভিওয়েট নেতাদের প্রার্থী করতে। বড় নাম পুরভোটে এনে তিনি চমকে দিতে চান।
মুকুলের রায়ের কৌশলে সন্তোষ প্রকাশ
ঠিক এমনটাই তিনি তৃণমূলের পক্ষেও করেছিলেন। ২০১০ সালে তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভওয়েটদের প্রার্থী করা হয়েছিল। বিজেপিতেও তিনি সেই স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করতে চান। কিন্তু দলের বড় অংশ তাতে নারাজ ছিল। তবে অমিত শাহ মুকুলের রায়ের কৌশলে সন্তোষ প্রকাশ করায় এখন তাঁর মতই মান্যতা পেল।
পুরভোটের আগে দিল্লিতে অমিত শাহ, ধনকর বৈঠক! রাজ্যপাল তুলে ধরলেন নানা বিষয়ে উদ্বেগের কথা