বিজেপিতে যোগ দিয়ে দুই ‘তৃণমূলী’র অন্তর্দ্বন্দ্ব, শেষমেষ বহিষ্কৃত ‘মুকুল রায়ের লোক’
মুকুল রায় দলবদলের পরই শিবশঙ্কর দত্ত তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। বিজেপিতে গিয়েও তিনি নিজেকে 'মুকুল রায়ের লোক' বলে পরিচয় দিতেন।
মুকুল রায় দলবদলের পরই শিবশঙ্কর দত্ত তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। বিজেপিতে গিয়েও তিনি নিজেকে 'মুকুল রায়ের লোক' বলে পরিচয় দিতেন। এহেন শিবশঙ্কর দত্ত বহিষ্কৃত হলেন বিজেপি থেকে। সম্প্রতি পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই কোন্দল প্রকাশ্যে আসে। এই দল পরিবর্তনের সমালোচনা করে শাস্তির কোপে পড়েন শিবশঙ্কর।
মুকুল রায়ের লোকের বিক্ষোভ
শিবশঙ্কর বলেন, যারা তৃণমূলে কাটমানি খেত, এখন হালে পানি না পেয়ে বিজেপিতে আসছে। তাদের বিরুদ্ধেই ওই প্রতিবাদ। সম্প্রতি পাঁচ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তারপরই বিক্ষোভে উত্তাল হল জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। দফতরে এলে বিজেপির পক্ষ থেকে পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখিয়ে দলের কোপে পড়েন ‘মুকুল রায়ের লোক'।
তৃণমূলের দুর্নীতিবাজরা বিজেপিতে
বিজেপির অভিযোগ, এঁরা এতদিন তৃণমূলে থেকে কাটমানি খেতেন। এই সব দুর্নীতিবাজ নেতাদের দলে নিয়েছে বিজেপি। তা নিয়েই জেলা বিজেপির মধ্যে তীব্র অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। বিজেপির তরফে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে এই ঘটনায়। দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে মুকুল রায়ের লোক বলে পরিচিত শিবশঙ্কর দত্তকে।
কাটমানি তোপের পর বহিষ্কার
শিবশঙ্কর দত্তদের অভিযোগ, কাটমানি খাওয়া লোকগুলোকে ফের দলে নিচ্ছে বিজেপি। নিজেকে মুকুল রায়ের লোক বলে পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, বিজেপিতেও দুর্নীতিবাজ লোকগুলো ঢুকে পড়ছে। এই কঠোর সমালোচনার পর শিবশঙ্করকে বহিষ্কারেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজেপির জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, দল থেকে বহিষ্কার করা হল শিবশঙ্করকে।