মুকুল নস্যাৎ করছেন ২১'এর ভোট নিয়ে বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্কের ভোট-গণিত ! পারদ চড়ছে গেরুয়া শিবিরে
পার্টির থিঙ্কট্যাঙ্ক তাঁকে ছাড়াই দিল্লির বুকে হাইভোল্টেজ বৈঠক করেছেন বলে খবর। আর এরপর দিল্লিতে নিজের বাসভবন থেকে মুকুল রায় সরিয়ে দিয়েছেন মোদী শাহের ছবি। প্রশ্ন উঠছে ,তাহলে কি এবার মুকুল রায়ের বাড়িতে মোদীর পোস্টারের জায়গায় দিদির পোস্টার থাকার সম্ভবনা বাড়ছে? সে উত্তর সময় দেবে। তবে তার আগে পার্টি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট নিয়ে যে অঙ্ক কষছে, তাকে কার্যত মানতে চাইছেন না বাংলার রাজনীতির 'চাণক্য' মুকুল রায়।
১৯০ এর অঙ্ক ও মুকুল
দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোট নিয়ে কয়েকদিন আগেই বিজেপির অন্দরে একটি হাইপ্রোফাইল বৈঠক হয়েছে। সেখানে পার্টি সেক্রেটারি কৈলাস বিজয়বর্গীয় দাবি করেন যে বিজেপি এই ভোটে ২৯৪ টির মধ্যে ১৯০ টি আসন জিতে নেবে। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতার এই অঙ্ক কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছেন বাংলার দুঁদে নেতা মুকুল রায়।
ভাঙন চওড়া হচ্ছে!
এক খবর অনুযায়ী, মুকুল রায়ের দাবি, মুকুল মনে করছেন বাংলার গ্রাউন্ড রিয়ালিটিতে নেমে দেখতে হবে যে বিজেপির কী পরিস্থিতি। ২৯৪ টি আসনের মধ্যে ১৯০ টি জেতা বিজেপি সময়ের অপেক্ষা মনে করলেও, বাস্তবের মাটিতে পরিস্থিতি তাই নয়। ১৯০ এর অঙ্ক পেতে গেলে পার্টিকে বহু কঠিন রাস্তা পার হতে হবেব বলেও মুকুল শিবিরের বার্তা।
মূল সংঘাত
২০২১ সালের বিধানসভা ভোট নিয়ে মূলত বিজেপির অন্দরে যে বিশেষ বৈঠক হয়েছে, তাতে মুকুল রায়ের পরামর্শ দিলীপ ঘোষরা মানতে চাননি। ফলে বিজেপির অন্দরে সংঘাত আপও বেড়েছে। মুকুল শিবির এতে যে প্রবল ক্ষুব্ধ তা বাংলার রাজনীতিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। এরপর ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে মমতা বিক্ষুব্ধদের ফের দলে যোগ দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। ফলে 'দুইয়ে দুইয়ে চার' আদৌ হয় কি না , তা নিয়ে বাংলার রাজনীতির পারদ চড়ছে।
চোখের চিকিৎসা ও দিল্লি সফর
মুকুল রায়ের বাড়ি থেকে শাহ-মোদীর ছবি সরে যাওয়া, বিজেপির অন্দরে একাধিক পরিস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা সহ একাধিক বিষয় নিয়ে মুকুল রায় গত কয়েকদিনে বারবার খবরে এসেছেন। দিল্লিতে এমন রাজনৈতিক ঝড় তুলে এবার মুকুল নিজের 'ঘরে' ফিরেছেন। কলকাতায় ফেরার কারণ হিসাবে অবশ্য তিনি জানিয়েছেন , তাঁর চোখের চিকিৎসার জন্য তিনি দলে ফিরেছেন। তবে 'চোখের চিকিৎসা' র অন্তরালে কোনও রাজনৈতিক পদক্ষেপ মুকুল রায়ের ঝুলিতে রয়েছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে বাংলার রাজনীতিতে। অন্যদিকে পিকে শিবিরও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে।