কেন দরকার প্রশান্ত কিশোরকে, মুকুল হাঁড়ি ভাঙলেন অনুব্রত গড়ে
এক সময় তৃণমূলে তাঁর স্থান ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর চোখ দিয়েছেন দেখতেন সংগঠনকে। কেননা পুরো সংগঠনই যে ছিল মুকুল রায়ের হাতে। কিন্তু মধ্যের অনেক ঘটনা বাদ দিলেন, সেই মুকুল রায়েক কাজকে কলকাতায় এসে স্বীকৃতি দিয়েছেন বিজেপির নম্বর টু অমিত শাহ। সেই মুকুল রায়ই তৃণমূলে প্রশান্ত কিশোরের প্রয়োজনায়ীতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন।

২০১১, ২০১৪-র ভোটে তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ ছিল মুকুলের অবস্থান
২০১১-তে রাজ্যে পরিবর্তনের ভোট হোক কিংবা ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে, দুটি নির্বাচনেই মুকুল রায়ের অবস্থান তৃণমূলে ছিল গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে ২০১১-তে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছিল, অন্যদিকে ২০১৪-র ভোটে রাজ্যে তৃণমূল সব থেকে বেশি লোকসভার আসন পেয়েছিল।

২০১৯-এর নির্বাচনের পর তৃণমূলে বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোর
২০১৯-এর নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপির আসন ২ থেকে বেড়ে হয় ১৮। তৃণমূল বড় ধাক্কা খায় বিজেপির কাছে। বলা ভাল মুকুল রায়ের কাছে। কেননা, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের আসনগুলি, এছাড়াও কোচবিহার, উত্তর মালদহ, বনগাঁ আসনে বিজেপি জেতে মুকুল রায়ের কৌশলেই।
এই নির্বাচনের পরেই তৃণমূলে ভোট বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে চুক্তি করে তৃণমূল। তবে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে কেন এই ভোট বিশেষজ্ঞ।

মুকুল রায়ের জন্যই সাফল্য, বলেছেন অমিত
রবিবার শহিদ মিনারের মঞ্চ থেকে একে একে অনেক নেতার নাম করেছেন অমিত শাহ। দিলীপ ঘোষর নাম দিয়ে শুরুও করেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের পাশাপাশি দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীর নাম করেন অমিত শাহ। এরপর আসে মুকুল রায়ের কথা। সব থেকে যদি কোনও বিশেষণ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে, তবে তা মুকুল রায়ের নামে। অমিত শাহ বলেন, মুকুল রায় কনভেনর থাকার সময়েই ভারতীয় জনতা পার্টি রাজ্যে ৪২টির মধ্যে ১৮ টি আসন জিতে নিয়েছে।


প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে কটাক্ষ মুকুলের
বীরভূমের লাভপুরে একটি খুনের মামলায় হাজিরা দিতে মুকুল রায় গিয়েছিলেন অনুব্রত গড়ে। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, মুকুল রায় বলেন, ২০১১-তে ক্ষমতায় আসতে কিংবা ২০১৪-র লোকসভা ভোটে তো তৃণমূলের দরকার পড়েনি প্রশান্ত কিশোরকে। কিন্তু কেন এখন দরকার পড়ছে প্রশান্ত কিশোরের, প্রশ্ন তোলেন মুকুল রায়। এর মাধ্যমে তাঁর মতো সংগঠকের যে কোনও দলে প্রয়োজনীয়তার কথাই মুকুল রায় তুলে ধরলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।