মুকুলের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি মমতা-পিকেকে মাত দিতে, একুশের ভোটের টার্গেট ফিক্সড জঙ্গলমহলে
মুকুলের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি মমতা-পিকেকে মাত দিতে, একুশের টার্গেট ফিক্সড জঙ্গলমহলে
বিজেপিতে ফর্মে ফিরছেন মুকুল রায়। বছরাবধি নির্লিপ্ত থাকার পর তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মুকুল রায়। একইসঙ্গে চ্যালেঞ্জ দিলেন প্রশান্ত কিশোরকে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই ঘোষণা করলেন আসন্ন ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জঙ্গলমহলে কতগুলি আসন দখল করতে চলেছে।
এক সপ্তাহের মধ্যেই মুকুলের পাল্টা মমতাকে
মাত্র এক সপ্তাহ আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক পর্যালোচনা সভা করে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই জঙ্গলমহলে গিয়ে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরলেন মুকুল রায়। যে আদিবাসী ভোট ফিরে পেতে আগ্রহী মমতা কল্পতরু হলেন, সেখানে গিয়েই ‘পরিবর্তন' স্লোগান তুলে দিলেন মুকুল রায়।
ভিক্ষা নয়, চাকরি চায় জঙ্গলমহল, সাফ কথা মুকুলের
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হয়ে দ্বিতীয়বার জঙ্গলমহল সফরে গেলেন মুকুল রায়। জঙ্গলমহলের শিলদায় এক সমাবেশে গিয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেই তিনি নিশানা বলেন, জঙ্গলমহলের লোকেরা ভিক্ষা নয়, চাকরি চায়। কিন্তু রাজ্যে কোনও চাকরি নেই, শুধু ভিক্ষা দিয়েই দায় সারছে রাজ্য সরকার।
চার আসনেই জিতবে বিজেপি, নিসংশয় মুকুল
মুকুল রায় বলেন, জঙ্গলমহলের মানুষ তাদের মনকে দৃঢ় করেছে। তারা একজন সদর্থক প্রার্থীকেই ভোট দেবে এবার। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি যে, বিজেপি এই জাতীয় লোককেই টিকিট দেবে। আমার জয় নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। ঝাড়গ্রামের চারটি বিধানসভা আসনই বিজেপি জিতবে, এ বিশ্বাস আমার আছে।
মমতার ভুল সিদ্ধান্ত, তাই জিতবে বিজেপি
মুকুল রায় বলেন, ২০১৩ সালে বলেছিলাম জঙ্গলমহলের যুবকেরা চাকরি চায়। তারা ভিক্ষা চায় না। এই জায়গায় দাঁড়িয়েই বলেছিলাম লোককে প্রতি কেজি ২ টাকায় চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল। আমার মনে আছে আমি যখন স্টেজে উঠলাম, তখন দু'জন যুবক আমার কাছে এসেছিল এবং বলেছিল তারা চাল নিয়ে সন্তুষ্ট নয়, তারা চাকরি চায়।
চাকরি চাইলে মাওবাদী! তাই হারবে মমতা
মুকুল রায় বলেন, সেই কথাটি গত সাত বছর ধরে আমার কানে বাজে। এই শিলদাতেই ২০১৩ সালে বাক স্বাধীনতা হরণের সাক্ষী ছিলাম আমি। স্থানীয় কৃষক শিলাদিত্য জানতে চেয়েছিলেন- কৃষকের কী হবে। জানতে চেয়েছি্লেন খাবো কী! তারপর তাঁর জুটেছিল মাওবাদী তকমা। এখনও ভিক্ষা দেওয়ার কাজ অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে এমন একটি উন্নয়নও হয়নি শিলদায়। তাই মমতার দলের হার নিশ্চিত
২০১৩-র স্মৃতি-তর্পণে মমতাকে নিশানা মুকুলের, জানালেন জঙ্গলমহলের মানুষ কী চান