তৃণমূল ক’টি আসন পেতে পারে ২০২১-এ, সাংগঠনিক বৈঠকে স্পষ্ট করলেন মুকুল
৪২-এ ৪২ টার্গেট করে লোকসভায় তৃণমূল পেয়েছিল মাত্র ২২টি আসন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি নেতা মুকুল রায় মনে করছেন, তৃণমূল এবার ৩০টি আসনও পাবে না।
লোকসভা ভোটের আগে মুকুল রায় বলেছিলেন এবার তৃণমূল ২০টি আসন পাবে না। তিনি প্রায় মিলিয়ে দিয়েছিলেন সেই ভবিষ্যদ্বাণী। ৪২-এ ৪২ টার্গেট করে তৃণমূল পেয়েছিল মাত্র ২২টি আসন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি নেতা মুকুল রায় মনে করছেন, তৃণমূল এবার ৩০টি আসনও পাবে না।
আসন্ন বিধানসভায় কী ফল
বিজেপির সাংগঠনিক সভা সেরে বেরিয়ে মুকুল রায় সংবাদ মাধ্যমের সামনে সাফ জানিয়ে দিলেন আসন্ন বিধানসভায় কী হতে চলেছে। যে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় রয়েছে, তাদের কোথায় নামিয়ে আনা সম্ভব, তা প্রকট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন সেনাপতি।
৩০টি আসনও জুটবে না
মুকুল রায় বলেন, বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে এসে এই উপলব্ধি হয়েছে, তৃণমূল এবার ৩০টি আসনও পাবে না। ২৯৪ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় এবার বিজেপিই জিতবে। তৃণমূল নামতে নামতে একেবারে তলানিতে পৌঁছে যাবে। ৩০টি আসন তাদের জোটে কি না তাই প্রশ্ন।
প্রধান বিরোধী দলের তকমাও পাবে না
অর্থাৎ তৃণমূল এবার বিধানসভার প্রধান বিরোধী দলের তকমাও পাবে না বলে অভিমত মুকুল রায়ের। তৃণমূলের প্রাপ্তির সম্ভাব্য আসন সংখ্যা জানিয়ে মুকুল তা বুঝিয়ে দেন। উল্লেখ্য, ২৯৪ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে গেলে কমপক্ষে ৩০টি আসন পেতে হয়।
২৫০-ও অতিক্রম করতে পারে বিজেপি
মুকুলের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী বিজেপি এবার ২০০-র উপর আসন পাবে রাজ্য বিধানসভায়। এমনকী এই সংখ্যাটা ২৫০-ও অতিক্রম করে যেতে পারে। এবার বিধানসভা মাত্র তিনজন বিধায়ক ছিল বিজেপির। সেই তিন থেকে বেড়ে এখন সংখ্যাটা সাত। কিন্তু ২০২১-এর ভোটে বিজেপি সেই সংখ্যাটাকে আকাশছোঁয়া করে দিতে পারবে বলে মনে করেন মুকুল রায়।
পরিবর্তন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা
মুকুলের কথায়, এবার রাজ্যে পরিবর্তন আসন্ন। তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন মুকুল রায়। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, তৃণমূলের শাসনের অবসান ঘটিয়ে বিজেপি বাংলায় প্রকৃত পরিবর্তন আনবে। বিজেপির প্রতিটি সাংগঠনিক সভায় গিয়ে সেই উপলব্ধিই করছেন তিনি। মানুষ উৎসাহিত তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে।