মমতার মুখের হাসি কাড়তে মুকুলের টার্গেট জঙ্গলমহল-পাহাড়, নতুন অঙ্ক কষছে বিজেপি
লোকসভার ট্রেন্ড ২০২১-এর বিধানসভা চললে বুমেরাং হবে তৃণমূল কংগ্রেসের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের জঙ্গলমহল ও পাহাড়ই তাঁর মুখের হাসি কেড়ে নেবে।
লোকসভার ট্রেন্ড ২০২১-এর বিধানসভা চললে বুমেরাং হবে তৃণমূল কংগ্রেসের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের জঙ্গলমহল ও পাহাড়ই তাঁর মুখের হাসি কেড়ে নেবে। বিজেপি সেটাই চাইছে যে কোনও মূল্যে। পাহাড় ও জঙ্গলমহল থেকে তৃণমূলের নাম ও নিশান মুছে দিতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। সেই কারণেই বিজেপি জঙ্গলমহলের ১৪ ও পাহাড়ের ৩টি আসন টার্গেট।
জঙ্গলমহলের চিত্র লোকসভার নিরিখে
লোকসভার নিরিখে জঙ্গলমহলের ১৪টি আসনের মধ্যে ১২টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। আর তৃণমূল এগিয়ে মাত্র দুটি আসনে। এখন বিজেপি ১২টি আসনের দখল রেখে বাকি দুটিও তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অঙ্ক কষছে। কেননা ওই দু'টি আসনে নামমাত্র ব্যবধানে এগিয়ে রযেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পাহাড়ে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি
পাহাড়েও তৃণমূলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। পাহাড়ের দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াং বিধানসভায় বিজেপি পিছনে ফেলে দিয়েছে তৃণমূলকে। সেই অগ্রগমন ধরে রাখতে পারলে বিজেপিকে ঠেকানোর সাধ্যি নেই তৃণমূলের। কেননা পাহাড়ে বিমল গুরুংপন্থীরা বিজেপির দিকেই। সেই প্রমাণ মিলেছে লোকসভায়। বিনয় তামাংপন্থীরা আখেরে কোনও লাভ করতে পারেননি।
মুখ্যমন্ত্রীর হাসি কেড়ে নিয়েছিল পাহাড় ও জঙ্গলমহল
মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দিয়েছিলেন জঙ্গলমহল ও পাহাড়কে। কথায় কথায় তিনি বলতেন, পাহাড় হাসছে, জঙ্গলমহল হাসছে। সেই পাহাড় ও জঙ্গলমহল তাঁকে সেই হাসি ফিরিয়ে দেয়নি। বরং মুখ্যমন্ত্রীর হাসি কেড়ে নিয়েছিল পাহাড় ও জঙ্গলমহল। তৃণমূল এবার ফের পাহাড় ও জঙ্গলমহলে জিতে মুখের হাসি ফেরাতে চাইছে।
গোটা উত্তরবঙ্গে বিজেপির পাল্লাই ভারী
বিজেপি কিন্তু এর মধ্যে অঙ্ক কষে ফেলেছে, পাহাড়-সহ গোটা উত্তরবঙ্গে তাদের পাল্লাই ভারী। তারা একটু পিছিয়ে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গের মোট আটটি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৫৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ৩৬টি আসনে। তৃণমূল ১৪টিতে এবং কংগ্রেস ৬টি আসনে এগিয়ে। এখন দক্ষিণবঙ্গের দিকে তাকিয়ে বিজেপি।