সুপ্রিম পর্যবেক্ষণের পরেই বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে মুকুল! বললেন, ডেকেছে তাই এসেছি
গত কয়েকদিন আগেই মুকুল রায় ইস্যুতে বিধানসভার অধ্যক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট। আর এই বার্তার পরেই বিধানসভায় এলেন মুকুল রায়। জানা যায়, খোদ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ডেকে পাঠান। মুলত
গত কয়েকদিন আগেই মুকুল রায় ইস্যুতে বিধানসভার অধ্যক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে সুপ্রিম কোর্ট। আর এই বার্তার পরেই বিধানসভায় এলেন মুকুল রায়। জানা যায়, খোদ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ডেকে পাঠান। মুলত পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (PAC) বৈঠকে অংশ নিতেই কৃষ্ণনগরের এই বিধায়ককে তলব করেন তিনি।
যদিও আগেই এই বৈঠকে তিনি অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন মুকুল। সেই মতো শুক্রবার সকালেই বিধানসভায় পৌঁছে যান তিনি।
বলে রাখা প্রয়োজন, মুকুল রায়েরবিধায়ক পদ নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিদ্ধান্ত নিতে বলল সর্বোচ্চ আদালত। আইন অনুযায়ী এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এদিনের পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এহেন পর্যবেক্ষণ সামনে আসার পরেই বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়ের বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও এই বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
যদিও সুপ্রিম কোর্টের আগে কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর, ৭ অক্টোবরের মধ্যে অধ্ক্ষকে মুকুল রায়ের সদস্যপদ খারিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছিল। তবে এদিন সর্বোচ্চ আদালতের তরফ থেকে এই আবেদনের ক্ষেত্রে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। বিধানসভার অধ্যক্ষের পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।
বলে রাখা প্রয়োজন, এই বছরের ১৭ জুন শুভেন্দু অধিকারী মুকুল রায়ের সদস্যপদ খারিজের দাবি করে অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন। পরে বিজেপির তরফে বিধানসভার সদস্য অম্বিকা রায় জুলাই মাসে মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন দাখিল করেন। সেই সংক্রান্ত মামলারও শুনানি হয়েছে।
কিন্তু এই বিষয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও এদিন বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায় জানান, "আমি বৈঠকে ডাক পেয়েছি। তাই যোগ দিতে এসেছি।"
মুকুল রায়ের পিএসসি চেয়ারম্যান হওয়া নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক। মুলত বিরোধী দলের কাউকেউ পিএসসি চেয়ারম্যান করা হয়। কিন্তু এবার সেই পদে চেয়ারম্যান করা হয়েছে মুকুল রায়কে। আর সেখানেই বিতর্ক। যদিও শাসকদলের দাবি মুকুল রায় নাকি এখনও বিজেপি বিধায়ক। যদিও এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টে।
যদিও পিএসসি চেয়ারম্যান হওয়ার পরে একবারই এই কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়। এরপর কোনও বৈঠকে তিনি ছিলেন না। দীর্ঘদিন পর ফের একবার পিএসসির বৈঠক বিধায়ক। যদিও মাঝের বৈঠকে তাঁর না থাকার কারণ হিসাবে মুকুল জানিয়েছেন, শরীর অসুস্থ।
তবে গুরুত্বপূর্ণ হল কিছুদিন পরই বিভিন্ন রাজ্যের পিএসির যে চেয়ারম্যানরা রয়েছেন তাঁদের নিয়ে দিল্লিতে এক বৈঠক রয়েছে। সেখানে মুকুল রায় যাবেন কি না সেদিকেও নজর থাকবে।