মুকুল জানেন একমাত্র কে হারাতে পারেন মমতার তৃণমূলকে, ওঁত পেতে আছে বিজেপি
মুকুল জানেন একমাত্র কে হারাতে পারেন মমতার তৃণমূলকে, ওঁত পেতে আছে বিজেপি
বিজেপি ওঁত পেতে বসে আছে। তৃণমূলে কারও পান থেকে চুন খসলেই তাঁকে ঘরে তুলবেন গেরুয়া উত্তরীয় গলায়। ইতিমধ্যে এমন অনেকেই দলবদল করেছেন। বিশেষ করে মুকল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তাঁর অনুগামী হয়েছেন অনেক নেতা। তাঁরা এখন বিজেপিতে পদাধিকারী। সবাই-ই প্রায় প্রতিষ্ঠিত নতুন পার্টিতে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে একজনও নেই তৃণমূলকে হারানোর মতো মুখ।
কে হারাতে পারেন তৃণমূলকে! মুকুল জানেন
মুকুল রায় জানেন কে হারাতে পারেন তৃণমূলকে। বিজেপি তাই তাঁর জন্য কবে থেকে ওঁত পেতে বসে আছেন। কিন্তু তিনি তো ধরা দেওয়ার পাত্র নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে ধরতে পারছেন না, আর মুকুল রায় বা দিলীপ ঘোষরা তো কোন ছার। তবে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না বিজেপি। সেইমতো তাঁদের প্রতীক্ষা আজও।
বিজেপি যাঁর প্রতীক্ষায় বসে, কে তিনি
বিজেপি যাঁর প্রতীক্ষায় এখনও বসে আছে, তিনি হলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে তৃণমূলে জননেতা বলতে যাঁকে বোঝায়, তিনি হলেন শুভেন্দু। মমতার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের মন্ত্রীও তিনি। সম্প্রতি তিনি তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্বে বজায় রেখে চলছেন বলেই ফের নানা কথা রাজনৈতিক মহলে।
শুভেন্দুর জন্য ফাঁদ পেতে রেখেছে বিজেপি
বিজেপি কিন্তু তাঁর জন্য এই জল্পনা শুরু থেকে বসে নেই। মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার পর থেকেই শুভেন্দুর জন্য ফাঁদ পেতে রেখেছে বিজেপি। কেননা মুকুল-দিলীপ থেকে শুরু করে বিজেপির তাবড় নেতারা জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একমাত্র কঠিন লড়াইয়ের মুখে ফেলে দিতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী।
তৃণমূল ভাঙানো ছাড়া গতি নেই বিজেপির
বিজেপির সব থাকলেও শুভেন্দু অধিকারীর মতো মুখ নেই। মুকুল রায় নেপথ্যে থেকে সংগঠন পরিচালনা করতে পারেন। কিন্তু আদতে মমতার বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে পারেন না। আর বিকল্প মুখ হয়ে ওঠার মতো নেতা হলেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা শাসনের অবসান ঘটাতে তাই তৃণমূল ভাঙানো ছাড়া গতি নেই বিজেপির।
বাংলায় বিজেপির মুখ তৃণমূলের নেতা!
আর এই উপলব্ধি শুধু মুকুল রায় বা বঙ্গ বিজেপির নেতাদের নয়। খোদ অমিত শাহও প্রকারান্তরে শুভেন্দুর মতো কোনও নাম বাংলায় বিজেপির মুখ হিসেবে তুলে ধরার কথা বলে গিয়েছিলেন নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চ থেকে। বলেছিলেন, বিজেপির যিনি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন, তিনি হবেন মাটির কাছাকাছি একজন। আর তেমন যে দলে কেউ নেই, তার আভাসও দিয়েছিলেন তিনি।
মুখ ভার, তবু ফাঁদে ধরা দেননি শুভেন্দু
তাই মুকুল রায় দলে আসার পর থেকেই শুভেন্দুকে দলে টানতে নানা টোপ ফেলা হয়েছে। যখনই শুভেন্দুর সঙ্গে মতান্তর হয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের, তখনই বিজেপি ফাঁদ পেতে বসেছে। কিন্তু কোনওবারই ফাঁদে ধরা দেননি শুভেন্দু। এবারও তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের পর শুভেন্দুর মুখ ভার হতেই আসরে নেমে পড়ে পড়েছে বিজেপি।
শুভেন্দুকে জালে পুরতে তল পাচ্ছেন না কেউই
কিন্তু শুভেন্দুকে জালে পুরতে তল পাচ্ছেন না গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তিনি তৃণমূলকেও ঘোল খাইয়ে ছাড়ছেন। আর বিজেপিকেও। নিজেকে দুই দল থেকেই সমান্তরাল দুরত্বে রেখে নিজের মতো করে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে থাকা তাঁর অনুগামীরা প্রচার চালাচ্ছেন শুভেন্দুর হয়ে। সেখানে নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, নেই তৃণমূলের প্রতীকও।