মমতার নেতৃত্বে বাংলা আবার তাঁর নিজের জায়গায় ফিরবে, তৃণমূলে যোগ দিয়েই ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা মুুকুলের
মমতার নেতৃত্বে বাংলা আবার তাঁর নিজের জায়গায় ফিরবে, তৃণমূলে যোগ দিয়েই ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা মুুকুলের
অবশেষে শুভক্ষণেই বিজেপিতে ছেলে শুভ্রংশুকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন মুকুল রায়। অভিষেকের হাত থেকে উত্তরীয় নিয়ে মুকুল রায় বলেন, বাংলা আবার নিজের জায়গায় ফিরবে। এবং সর্বভারতীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার নেতৃত্ব দেবেন। তবে কেন তিনি বিজেপিতে থাকতে পারলেন না। তা নিয়ে পরে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবেন বলে জানিয়েছেন মুকুল রায়।
অবশেষে বিজেপিতে যোগ মুকুলের
নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা দেরিতেই তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক হয়। সাড়ে চারটের কিছু পড়ে মুকুল রায় এবং শুভ্রাংশু রায়কে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল ভবনের মিডিয়া রুমে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক, পার্থ, ফিরহাদরা। সূচনা করেন পার্থ। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাগত জানান মুকুল রায়কে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায় ও শুভ্রাংশু রায়ের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দেন।
মুকুলের ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা
মুকুলের তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরায় যে বঙ্গ বিজেপির অস্বস্তি বেড়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিেয় বলেছেন, আবার পুরনো আঙিনায় ফিরে এলাম। নতুনদের সঙ্গে কাজ করব এবার। বাংলা আবার নিজের জায়গা ফিরে পাবে। সর্বভারতীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতত্বে বাংলা আবার নিজের জায়গায় পাবে। তবে কেন তিনি বিজেপিতে থাকতে পারলেন না তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি মুকুল রায়। সেটা ভীষণ ভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তবে মুকুল রায় জানিয়েছেন তিনি কেন তৃণমূলে ফিরে এলেন তার ব্যাখ্যা লিখিত আকারে সাংবাদিকদের দেবেন।
মুকুল রায় কেন বিজেপি ছাড়লেন, তৃণমূলে যোগদানের পর উঠে আসছে মূলত ৪ কারণ
মমতার বার্তা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন বিজেপিতে থাকতে পারছিলেন না মুকুল। তাঁর শরীর খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। ওল্ড ইজ অলওয়েজ গোল্ড। মুকুল যে কষ্টে আছেন সেটা মুখ ফুটে বলতে পারছিলেন না। তারসঙ্গে মমতা এও বলেছেন, মুকুল কখনও নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোনও খারাপ কথা বলেননি। যাঁরা গদ্দার তাঁরা বলেছেন।
বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকট
মুকুলের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানে প্রকট হয়েছে বিজেপির অন্দরের লবিবাজি। মুকুলের এই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পরেই একের পর এক বিজেপি নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট বিতর্ক আরও উস্কে দিয়েছে। অনুপম হাজরা একদিকে অভিযোগ করেছেন দলে যোগ্য নেতাকে কোণঠাসা করা হয়েছে। ভোটে কাজে লাগানো হয়নি। এই লবিবাজি বন্ধ করা হোক। তার পরেই আবার বৈশালী ডালমিয়া ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, দল থেকে আবর্জনাদের সরানো হোক। শুভেন্দু অধিকারীকে এই অনুরোধ জানিয়েছেন বৈশালী ডালমিয়া।