মুকুলকে ভুলতে পারেনি তৃণমূল! দলীয় অনুষ্ঠানে ‘প্রধান অতিথি’ বঙ্গ বিজেপির প্রাণভোমরাই
তৃণমূলের আমন্ত্রণপত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে উজ্জ্বল মুকুল রায়ের নাম। তৃণমূলের এই আমন্ত্রণ পত্র নিয়েই এখন রাজ্য-রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে।
মুকুল রায় দল ছেড়েছেন আড়াই মাস আগে। তবু তাঁকে ভুলতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এতদিন পরও তাই তৃণমূলের আমন্ত্রণপত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে উজ্জ্বল তাঁর নাম। তৃণমূলের এই আমন্ত্রণ পত্র নিয়েই এখন রাজ্য-রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে। এটি নিছকই ভুল, নাকি ইচ্ছাকৃতভাবেই এটা করা হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্কে তৃণমূল কংগ্রেসও বিজেপিও। বিজেপির দাবি, এই কাজ জেনে-বুঝে করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়ায় ২১ জানুয়ারি অর্থাৎ রবিবার একটি কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্রেই জ্বলজ্বল করছে মুকুল রায়ের নাম। পরাশিয়া সাউথ কলোনির এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা স্থানীয় মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সম্পাদিকা সুমিত্রা নুনিয়ার করা আমন্ত্রণ পত্রেই এই ত্রুটি এখন রাজ্য-রাজনীতিতে চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, ২১ জানুয়ারি রানিগঞ্জে মুকুল রায় একটি জনসভা করবেন। সেই কারণেই মানুষকে বিভ্রান্ত করতে একই তারিখে মুকুল রায়ের নাম করে ওই প্রচার করা হয়েছে। অনেকে মনে করবেন, মুকুল রায় রানিগঞ্জে নয়, উপস্থিত থাকবেন পরাশিয়ায়। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূলের উপরমহলের নির্দেশেই এ ধরনের কাজ করা হয়েছে। মুকুল রায় দল ছাড়ায় তৃণমূল ভয় পেয়েছে বলেই, এইসব করছে।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ কার্যত খারিজ করে দিয়েছে। তৃণমূলের দাবি এটা ভুলবশত হয়ে গিয়েছে। ভুল করে ছেপে এসেছিল ওই কার্ড। কার্ডগুলি বিলি বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কোনওকারণে ভুলবশতঃ নতুন কার্ডের সঙ্গে বাতিল কার্ডগুলি মিশে গিয়ে এই বিপত্তি হতে পারে।
উল্লেখ্য, এই কার্ডে লেখা রয়েছে- 'আগামী ২১ জানুয়ারি, ২০১৮ পরাশিয়া সাউথ কলোনিতে এক কম্বল বিতরণ সভা অনুষ্ঠিত হইবে, সেই সভায় আপনি উপস্থিত হইয়া সভাটি সাফল্য করিতে সহযোগিতা করিবেন।' এরপরেই লেখা ছিল প্রধান অতিথি মুকুল রায়ের নাম। তারপর বিশেষ অতিথি হিসেবে নাম ছিল রামেশ্বর ভকত, পলি বাগদির নাম। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পলি দেবী জানান, তাঁর নামও ভুল ছাপা হয়েছিল। পলি বাগদি নয়, পলি বাগচি তাঁর নাম।