মুকুল দল ভারী করলেই বেসুরো বাজছেন বিজেপিতে! দিলীপের সঙ্গে বসিয়ে বার্তা শাহের
মুকুল দল ভারী করলেই বেসুরো বাজছেন বিজেপিতে! দিলীপের সঙ্গে বসিয়ে বার্তা শাহের
মুকুল রায় বিজেপির শক্তি বাড়াচ্ছেন। আবার সেই সঙ্গে নিজের দলও ভারী করছেন। তৃণমূল থেকে আসা নেতারা যে আদতে তাঁর দলেই ভিড়ছেন তা বিলক্ষণ বোঝেন দিলীপ ঘোষ। স্বভাবতই মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। মুকুল রায় পান থেকে চুন খসলেই বিজেপিতে বেসুরোও বাজছেন। বিজেপিতে পদ পাওয়ার পরও তিনি সরব।
গুরুত্ব বাড়ার পরও অনুযোগ মুকুলের
সম্প্রতি গোঁসা করে ছিলেন দীর্ঘদিন। করোনাকালে তাঁকে সামনের সারিতে দেখা যায়নি। একা ছড়ি ঘোরাচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ। অবশেষে তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মনোনীত হয়েছেন। দলে তাঁর গুরুত্ব বেড়েছে। আর তারপরই তিনি ফের সক্রিয় হন। সক্রিয় হয়েই অবশ্য কাজের কাজটা করে দেন তিনি। শুভেন্দুকে বিজেপিকে আনতে সফলকাম হন অবশেষে।
মুকুলের তির দিলীপ ঘোষের দিকেই!
কিন্তু তারপর ফের তিনি বেঁকে বসেন। ঘনিষ্ঠমহলে তাঁর অনুযোগ, সর্বভারতীয় সহসভাপতি হওয়ার পরও রাজ্য বিজেপি তাঁকে ঠিকমতো কাজে লাগাচ্ছে না। তাঁর এই কথার তির যে দিলীপ ঘোষের দিকেই ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে ঠিকঠাক ব্যবহার করছে না বলে তিনি দিলীপ ঘোষকেই কাঠগড়ায় তুলতে চান।
দিলীপের আসার আগেই ফিরলেন মুকুল
আর তা স্পষ্ট হয় হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে বিজেপির সমাবেশে। ডুমুরজলায় সমাবেশের আগে বিজেপির মিছিলে তিনি অংশ নেননি। দিলীপের নেতৃত্বে মিছিলে না হেঁটে তিনি সটান সমাবেশ ক্ষেত্রে চলে এসেছিলেন। ফাঁকা সমাবেশ ক্ষেত্রে খানিকক্ষণ বসে তিনি ফিরে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে মিছিল আসার আগেই।
মুকুল-দিলীপদের ঐক্য প্রদর্শনের বার্তা
মুকুল রায়ের এই মতিগতি ভালো চোখে দেখেনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁরা এবার বাংলা-বিজয়ে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না। তাই চটজলজি ডেকে পাঠান দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়কে। উভয়কে নিয়ে বৈঠকে অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দেন- সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। ঐক্য প্রদর্শনের বার্তাও দেন তিনি। আর বলেন, নবাগতদের সম্মান দিয়ে সঠিক কাজে লাগাতে হবে।
বিজেপির মিছিলে ঐক্য প্রদর্শন ফিকে
এই পটভূমিকায় সোমবার বঙ্গ বিজেপির ঐক্য প্রদর্শনের মিছিল হওয়ার কথা। দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো থেকে বিকেল তিনটেয় মিছিল শুরু হবে। তা যাবে রাসবিহারী মোড় পর্যন্ত। সেখানে সন্ধ্যায় সমাবেশ হবে। এই মিছিলেন কোনও কেন্দ্রীয় নেতা থাকবেন না। থাকবেন না মুকুল রায়ও। থাকার কথা দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর। আদতে ঐক্য প্রদর্শন হচ্ছে না মিছিলে। দেবশ্রীও অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে কোনও কর্মসূচিতে ডাকা হচ্ছে না।
বামেদের সঙ্গে সমঝোতার অঙ্ক চূড়ান্ত! 'পকেট’ ধরে শতাধিক আসন দাবি কংগ্রেসের