মুকুল 'ফ্রি' প্লেয়ার বিজেপিতে! মমতাকে একুশের নির্বাচনে হারাতে বিজেপির অভিনব কৌশল
২০২১-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে নয়া কৌষশ নিল বঙ্গ বিজেপি। ‘চাণক্য’ অমিত শাহের নির্দেশে ঘূঁটি সাজানোর কাজ চলছে। মুকুলকে ফ্রি প্লেয়ার করে এবার ময়দানে নামছে বঙ্গ বিজেপি।
২০২১-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে নয়া কৌষশ নিল বঙ্গ বিজেপি। 'চাণক্য' অমিত শাহের নির্দেশে ঘূঁটি সাজানোর কাজ চলছে। মুকুলকে ফ্রি প্লেয়ার করে এবার ময়দানে নামছে বঙ্গ বিজেপি। ২০১৯-এর থেকেও মুকুল রায় শক্তিশালী হয়ে আসরে নামতে চলেছেন। তাঁর এক ও একমাত্র লক্ষ্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার পতন ঘটানো।
২০১৭-তে মুকুল দল ছাড়া থেকেই ভাঙনের চ্যালেঞ্জ
২০১৭ সালে ২০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। সেই দলববদলের পর মুকুল বিহীন দুটি পূর্ণ নির্বাচন লড়েছে তৃণমূল। দুটিতেই তৃণমূল আশাতীত সাফল্য পায়নি। উল্টে বিজেপিকে কাঙ্খিত সাফল্য দিয়ে চলেছেন তিনি। হাতের তালুর মতো চেনা তৃণমূলকে ভিতরে ভিতরে ঝাঁঝরা করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেই তিনি হাসিল করে নেন জয়।
দু-বছরে দুটি বড় নির্বাচনে কাঙ্খিত জয়ে মুকুলের হাত
২০১৮-য় পঞ্চায়েত নির্বাচন ছিল মুকুলের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম নির্বাচন। সেই নির্বাচনেই তিনি ছাপ রেখে যান। তৃণমূলকে ভেঙেই তিনি জঙ্গলমহলে ও উত্তরবঙ্গে বহু পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেন। তারপর ২০১৯-এ তৃণমূলকে ঝটকা দিয়ে ১৮ জন সাসংদকে জিতিয়ে আনা মুখের কথা নয়।
২০২১-এর আগে তৃণমূল ভাঙিয়ে আনতে ক্ষমতা মুকুলকে
তৃণমূল থেকে ভাঙিয়ে আনা অনেকেই রয়েছেন ১৮ জন সাংসদের মধ্যে। তাঁদের বিজেপিতে যোগদান করানো থেকে টিকিট দেওয়া এবং সাংসদ বানানো কম সাফল্যের নয় এই ক্ষুদ্র অবসরে। মাত্র দে়ড় বছরেই তিনি তৃণমূলকে ভেঙে ছত্রখান করে দিয়েছেন। ২০২১-এর আগে তাঁর হাতে আরও ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তৃণমূলকে ভাঙতে। বিজেপির রাজ্য কমিটি রদবদলেই তিনি প্রভূত ক্ষমতা পেয়েছেন।
মুকুলপন্থীদের ভিড় বিজেপির রাজ্য কমিটিতে, মুকুল ‘ফ্রি'
বিজেপির নয়া রাজ্য কমিটিতে মুকুলপন্থীদের ভিড়। মোদী-অমিত শাহরা বিজেপিকে একেবারে ফ্রি প্লেয়ার করে দিয়েছেন। তাঁকে যে কোনও পজিশনে খেলার রাস্তা তৈরি করে দিয়েছেন। মুকুল অনুগামীদের বসানো হয়েছে এমন পদে, যাঁদেরকে দিয়ে তৃণমূলকে পিষে দিতে পারেন তিনি। বিজেপির রাজ্য কমিটিতে তিনি স্থান না পেলেও আদপে তাঁর হাতই শক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
মুকুলঘনিষ্ঠরা বিজেপির শীর্ষ পদে, বিজেপির নয়া প্ল্যান
যুব মোর্চার সভাপতি হয়েছেন মুকুলঘনিষ্ঠ সৌমিত্র খাঁ। এসটি মোর্চার সভাপতি খগেন মুর্মু, এসসি মোর্চার সভাপতি দুলাল বর- সবাই মুকুলের লোক বলে পরিচিত। তারপর সব্যসাচী দত্ত, অর্জুন সিং, ভারতী ঘোষ, মাফুজা খাতুনকে দেওয়া হয়েছে গুরুদায়িত্ব। এবার এঁদেরকে কাজে লাগিয়ে মুকুল অনেক খেলা খেলতে পারবেন।
মুকুলকে ফ্রি খেলোয়াড় করে তৃণমূল ভাঙাল প্ল্যান বিজেপির
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপি মোর্চার প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে অনেককে ভাঙিয়ে আনবে তৃণমূল থেকে। ২০২১-এর আগে মুকুল রায়কে এই মহার্ঘ্য কাজ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি পরিকল্পতিভাবেই তৃণমূলত্যাগীদের বা দলত্যাগীদের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের মাথায় বসিয়ে মুকুলের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে। মুকুলকে তৃণমূল ভাঙার কাজেই ব্যবহার করবে বিজেপি।