মুকুলের থাবায় দুই পুরসভা হারাতে চলেছে তৃণমূল! ২৯ কাউন্সিলর বিজেপির হাতের মুঠোয়
লোকসভা ভোটের পরই ভাঙন আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছিলেন তৃণমূল। মুকুল রায় যে হুঙ্কার ছেড়েছিলাম, তা সত্যি করে উত্তর ২৪ পরগনার দুই পুরসভা দখলের লক্ষ্যে হাত বাড়াতে পারে বিজেপি।
লোকসভা ভোটের পরই ভাঙন আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছিলেন তৃণমূল। মুকুল রায় যে হুঙ্কার ছেড়েছিলাম, তা সত্যি করে উত্তর ২৪ পরগনার দুই পুরসভা দখলের লক্ষ্যে হাত বাড়াতে পারে বিজেপি। শুভ্রাংশু-সহ তিন বিধাকের সঙ্গে দুই পুরসভার ২৯ জন সাংসদও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। ফলে তৃণমূলের হাতছাড়া হতে পারে দুই পুরসভা।
২৯ জন কাউন্সিলর দিল্লিতে
সূত্রের খবর, কাঁচরাপাড়া ও হালিশহর পুরসভার ২৯ জন কাউন্সিলর দিল্লি গিয়েছেন মুকুল রায় ও শুভ্রাংশুদের সঙ্গে। কাঁচরাপাড়ার ১৬ জন ও হালিশহরের তিনজন বিধায়ক দল পরিবর্তন করতে চলেছেন বলে দাবি। ফলে এই দুই পুরসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়তে পারে তৃণমূল। ক্ষমতা আসতে পারে বিজেপির হাতে।
পুরসভা পেতে পারে বিজেপি
মঙ্গলবার দলবদলের পর প্রথম কোনও পুরসভা পেতে পারে বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনায় এই ভাঙন সম্ভাবনা লোকসভা ভোটের আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। লোকসভায় বিজেপি ভালো ফল করার পর আর সেই ভাঙন রোখা গেল না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুধু তিন বিধায়ক বা ২৯ জন কাউন্সিলররাই নন, নৈহাটি, কল্যাণী পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলরও দিল্লি গিয়েছেন বিজেপিতে যোগ দিতে।
সোমবার জল্পনার অবসান
সোমবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিল্লি রওনা দেন শুভ্রাংশু। সঙ্গে বাবা মুকুল রায় ও আরও এক বিধায়ক। তিনি অর্জুন সিংয়ের আত্মীয় তথা নোয়াপাড়া কেন্দ্রের বিধায়ক সুনীল সিং। আর মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ শীলভদ্র দত্ত রয়েছেন দিল্লিতেই। সব কিছু ঠিকঠাক চললে মঙ্গলবারই তাঁরা রং বদলে সবুজ থেকে গেরুয়া হতে চলেছেন।