সিদ্ধিদাতাও রক্ষা পেলেন না রাজনীতি থেকে! সব্যসাচী দত্তের পুজোর উদ্বোধনে মুকুল রায়
রাজ্য প্রশাসনকে থোরাই কেয়ার। আদালতের অনুমতি নিয়ে বিধাননগরের মৈত্রী সংঘের পুজোর উদ্বোধন করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন মৈত্রী সংঘের পুজো সব্যসাচী দত্তের পুজো বলেই পরিচিত। অন্যবারের থেকে অনেক ছোট করে পুজো হচ্ছে। হাজিরও হয়েছেন স্বল্প সংখ্যক মানুষ।
'সম্পদ' কমছে সিপিএম-এর! ২০২১-এর আগে সংকটে দেশের বড় বামপন্থী দল

পুজো ঘিরে জটিলতা দেখা দিয়েছিল
করোনা আবহে মৈত্রী সংঘের পুজো ঘিরে জটিলতা দেখা দেয়। স্থানীয় প্রশাসন, বিশেষ করে বিধাননগর পুরসভা এবং বিধাননগর পুলিশ কেউই এই পুজোর অনুমতি না দেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৈত্রী সংঘের সভাপতি তথা বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। আদালতের রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর যাবতীয় কাজ শেষ করা হয়।

পুজো নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ
সব্যসাচী দত্তের অভিযোগ, পুজো নিয়ে টালবাহানা করেছে বিধাননগর প্রশাসন। বিদ্যুৎ দফতরের কোটেশন, বিধাননগর পুরসভা ও দমকল বিভাগের অনুমতি পত্রের সঙ্গে আদালতের রায়ের কপি উত্তর বিধাননগর থানায় জমা দিতে গেলেও, তা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে তা ইমেল করে পাঠানো হয়। পরে অবশ্য অনুমতি দেয় বিধাননগর কমিশনারেট।

পুজোর উদ্বোধন মুকুল রায়ের হাত ধরে
রীতি মেনে পুজোর উদ্বোধন করেন মুকুল রায়। ছিলেন সব্যসাচী দত্ত এবং তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রাণী দত্ত। সব্যসাচী দত্ত কটাক্ষ করে বলেন, সিদ্ধাদাতা গণেশও রাজনীতি থেকে রক্ষা পেলেন না, এটাই পশ্চিমবঙ্গের অনুপ্রেরণা।

উধাও ধুমধাম
প্রতিবার ধুমমাধ করে পুজো হলেও এবার সেই ধুমধাম উধাও। এবারের পুজো হয়েছে অনেকটাই ছোট করে।