মুকুল কোন পথ বেছে নেবেন এবার! একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে জল্পনার তিনদিক
মুকুল এবার কোন পথে পা বাড়াবেন, একুশের নির্বাচনের আগে খোলা তিনটি দরজা
তৃণমূলের মুখপাত্র হয়েই মুকুল রায়কে খোঁচা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। মুকুল রায়ের আসল দৃষ্টি ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা করেছেন। এই অবস্থায় মুকুল রায়কে নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। যতবার তিনি বলছেন তিনি বিজেপিতেই ভালো আছেন, ততবারই নতুন করে জল্পনার জটাজাল ঘিরে ধরছে তাঁকে।
জল্পনা বাড়ান কুণাল ঘোষ
দিল্লিতে বিজেপির বৈঠক থেকে তাঁর ফিরে আসার পরই নতুন করে শুরু হয়েছিল জল্পনা। তিনি বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি ক্ষুণ্ণ বলে প্রচার শুরু হয়েছিল। এবং তৃণমূলে ফিরতে পারেন বলেও রটে গিয়েছিল। কিন্তু ‘মুকুলের বিজেপিতে আছি বিজেপিতেই থাকব' বার্তার পর জল্পনা একটু কমলেও কুণাল ঘোষ তা ফের বাড়িয়ে দিলেন আসন ‘দৃষ্টি শক্তি ফেরা'র বার্তায়।
তিনটি পথ রয়েছে মুকুলের!
এখন রাজনৈতিক মহল চর্চা শুরু করেছে, এই অবস্থায় মুকুলের কাছে কোন কোন পথ খোলা। কেননা বিজেপিতে তিনি যে গুরুত্ব পাচ্ছেন না পরিষ্কার। এখন তিনি যদি তাড়াহুড়ো করে কোনও পদক্ষেপ নিয়ে নেন তা কী কী হতে পারে। বিশেষজ্ঞ মহন মনে করছে, তিনটি পথ খোলা রয়েছে তাঁর কাছে।
কী কী তিন পথ খোলা মুকুলের?
মুকুল রায়ের কাছে আপাতভাবে তিনটি পথ খোলা আছে। এক তাঁকে বিজেপিতে মানিয়ে নেওয়া। দুই, তৃণমূলের ফেরার চেষ্টা করা। আর তিন, নিজের ঘনিষ্ঠদের নিয়ে আলাদা কোনও মঞ্চ তৈরি করা বা দল তৈরি করা। পরে অবস্থা বুঝে তিনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন সেই মঞ্চ নিয়ে। উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে মুকুল রায়ের বদন্যতায় জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।
মুকুল যদি তৃণমূলে ফেরেন
এখন যদি মুকুল রায় ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন, তবে কি তিনি রাতারাতি আগের গুরুত্ব ফিরে পাবেন। বা সেকেন্ড ইন কম্যান্ড হয়ে উঠতে পারবেন। তা নিয়ে সন্দেহ থাকবেই। এমনও হতে পারে তৃণমূলে ফেরা তাঁর কাছে আরও অস্বস্তির হয়ে গেল। তখন তো সব কূলই যাবে। কেননা তৃণমূলে নবীন প্রজন্মকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মুকুল রায় দু-বার ভাববেন
যদিও রাজনীতিতে অসম্ভব বলে কিছু নেই তবু তৃণমূলে ফিরে যাওয়া মুকুলের পক্ষে বিচার্য বিষয় হবে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, তাঁর তৃণমূল ত্যাগের নেপথ্যে নবীন প্রজন্মের উত্থানের বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই মুকুল রায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও দু-বার ভাববেন বলেই মনে হয়।
নতুন কোনও দল বা মঞ্চ হলে!
তৃণমূলে ফিরে না গিয়ে নতুন কোনও দল বা মঞ্চ তৈরি করা কি অনেক ভালো হবে মুকুলের। যদি বিজেপিতে তিনি গুরুত্ব না পান তবে তিনি কি এমন কোনও সিদ্ধান্ত চটজলদি নিতে পারেন? বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সুযোগমতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথ খোলা রেখে পৃথক কোনও সংগঠন বা মঞ্চ গড়ে তোলা খুব সহজ হবে না মুকুলের কাছে। কেননা তিনি তা আগে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনও বড় নামকে তিনি এখনই পাবেন কি না তাঁর সঙ্গে সেটা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।
বিজেপিতে থাকার দুই সম্ভাবনা
এখন পড়ে রইল তাঁর বিজেপিতে থেকে যাওয়ার বিষয়টি। ধরে নেওয়া যেতেই পারে মুকুলকে আলাদা কোনও পদ না দিলেও তাঁকে ২০২১-এর ভোটের দায়িত্ব দেওয়া হল। মুকুল রায় কি সেটা গ্রহণ করবেন? নাকি কোনও কেন্দ্রীয় দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে যদি বাংলার বাইরে পাঠানো হয়, সেটা গ্রহণ করবেন?
কুশলী চালে গুরুত্ব বাড়ানো উদ্দেশ্য
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন মুকুল রায় প্রথমটাই মেনে নেবেন। কেননা তাঁরা কাছে বাংলা অনেক বেশি প্রাধান্য পাবে। আর তাঁর চ্যালেঞ্জটা বাংলাকে নিয়েই ছিল, বাংলাকে নিয়েই থাকবে। মুকুল রায় বিজেপিতে থাকাই শ্রেয় বলে মনে করতে পারেন। শুধু কুশলী চালে নিজের গুরুত্ব বাড়িয়ে নেওয়া তাঁর উদ্দেশ্য হতে পারে।
তৃণমূলের খোলনোলচে বদলে গিয়েছে, এবার জোয়ার আনার পরিকল্পনা একুশের আগে