কৈলাশে আপত্তি-আস্থা অমিতে, বিজেপিতে যোগদান নিয়ে ‘জলঘোলা’ মুকুলের
মুকুল বোঝাতে চাইলেন, তিনি যে সে নেতা নন। বা্ংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন গড়ে তোলার কাণ্ডারি তিনিই। তাই তাঁর যোগদান হোক তেমনই মর্যাদায়
কলকাতা না দিল্লি? কৈলাশ বিজয়বর্গীয় নাকি অমিত শাহ? এই প্রশ্নেই এখন আটকে আছে তৃণমূল-ত্যাগী মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগদানের বহুচর্চিত বিষয়টি। মুকুল রায়কে নিয়ে জল্পনার অবসান প্রায় হয়েই গিয়েছে। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতেই পা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এবার শুধু হাতে পতাকা তুলে নেওয়ার অপেক্ষা। তবে মুকুল রায় চাইছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতির হাত থেকেই গেরুয়া ঝাণ্ডা ধরতে।
তাই কলকাতা নয়, প্রয়োজনে দিল্লিতে গিয়েই তিনি যোগদান করতে চান বলে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। আর কৈলাশ বিজয়বর্গীয় নয়, তিনি চান তাঁকে দলে গ্রহণ করে নিন স্বয়ং অমিত শাহ। আসলে তিনি বোঝাতে চাইলেন, তিনি তো যে সে নেতা নন। বা্ংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন গড়ে তোলার কাণ্ডারি তিনিই। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি হন। তাই যে দলে তিনি যেতে চলেছেন, সে দলের সর্বাধিনায়কই তাঁর হাতে পতাকা তুলে দিন ইচ্ছা মুকুলের।।
বিজেপির তরফে স্থির করা হয়েছিল মুকুল রায়কে বিজেপিতে যোগদান করানো হবে কলকাতাতেই। দলের কেন্দ্রীয় নেতা তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় তাঁর হাতে পতাকা তুলে দেবেন। এবং ওইদি্ন সমস্ত রাজ্য নেতাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। সেইসঙ্গে পাঁচ-সাতজন কেন্দ্রীয় নেতাও মুকুলের যোগদান অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন বলে স্থির করেছিল বিজেপি।
কিন্তু মুকুল রায়ের আপত্তিতে আপাতত সেই ভাবনা শিকেয় উঠতে বসেছে। কেননা কলকাতায় তাঁর যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না অমিত শাহ। সেই কারণে প্রয়োজনে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই জানিয়ে দিয়েছেন মুকুল। তা হলে অমিত শাহের হাত দিয়ে তাঁর বিজেপিতে যোগদানের ইচ্ছাটি পূরণ হবে। আর সেইসঙ্গে মর্যাদাও বাড়বে যে- তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির বিজেপিতে যোগদান হচ্ছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির হাত ধরে।