মুকুলের তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে, ভোট-বাদ্যি বাজতেই তৎপরতা
একুশের নির্বাচনী দামাম বেজে গিয়েছে বাংলায়। বাংলার এবারের লড়াই হবে নীতি-আদর্শের উপর ভিত্তি করে। বিজেপি তাঁদের নীতি-আদর্শ নিয়েই বাংলায় পরিবর্তনের লড়াইয়ে সামিল হয়েছে।
একুশের নির্বাচনী দামাম বেজে গিয়েছে বাংলায়। বাংলার এবারের লড়াই হবে নীতি-আদর্শের উপর ভিত্তি করে। বিজেপি তাঁদের নীতি-আদর্শ নিয়েই বাংলায় পরিবর্তনের লড়াইয়ে সামিল হয়েছে। হেস্টিংসের অফিসে বিজেপির পতাকা যোগদানকারীদের হাতে তুলে দিয়ে তিনি বলেন, বিজেপি সর্বভারতীয় দল, সেইমতোই বিজেপি তার সমরসজ্জা করবে বাংলায়।
বিজেপি সর্বভারতীয় দল, পাড়ার ক্লাব নয়
ভোট ঘোষণা হওয়ার পরই প্রশ্ন ওটে, তাহলে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে কবে? সেই প্রশ্নের উত্তরে মুকুল রায় বলেন, বিজেপি সর্বভারতীয় দল, পাড়ার ক্লাব নয়। তাই বিজেপি তার মতো করেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হব। তাহলে কি প্রার্থী ঠিক করবে দিল্লিই। সে ব্যাপারে মুকুল রায় তাৎপর্যপূর্ণ উত্তর দিয়েছেন।
প্রার্থী তালিকা দিল্লি থেকে হবে নাকি কলকাতায়
মুকুল রায় বলেন, বিজেপির প্রার্থী তালিকা দিল্লি থেকেই হয়, সেটাই সচরাচর হয়ে এসেছে। তবে এবার কী হবে বলতে পারব না। বিজেপিকে সর্বভারতীয় দল বলে সুখ্যাতি করলেও তিনি যে এবার নির্বাচনে সে অর্থে কোনও দায়িত্ব নেই, তা বুঝিয়ে দিলেন ছোট্ট একটা কথায়। এবার প্রার্থী তালিকা দিল্লি থেকে হবে নাকি কলকাতায় ঘোষিত হবে, তাঁর জানা নেই।
বিজেপি ঠিক সময়েই পাঠিয়ে দেবে তালিকা
মুকুল রায়কে পেয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিজেপি কবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে? সে প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, এটা এখনই বলা সম্ভব নয়। বিজেপি তাঁর লক্ষ্যে এগোচ্ছে। এখনও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে কোনও তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়নি। বিজেপি ঠিক সময়েই পাঠিয়ে দেবে তালিকা। বিজেপি তৈরি রয়েছে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে।
২০১৯-এর উত্থানের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই...
মুকুল রায় বলেন, মাত্র দু-মাসে ৪০ শতাংশ ভোটে পৌঁছনো মুখের কথা নয়। তা করে দেখিয়েছে বিজেপি। বিজেপি লক্ষ্যে স্থির। ২০১৯-এর উত্থানের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই বিজেপি এগোচ্ছে। বাংলায় প্রকৃত পরিবর্তন আনাই লক্ষ্য। তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে, সেই লক্ষ্যে তৃণমূলের কোমর আগেই ভেঙে দিয়েছে বিজেপি।
দলবদলের ধারা অব্যাহত একুশের আগে
তৃণমূলকে ভেঙে ছত্রখান করে দিয়েছেন মুকুল রায়। তাঁর কাজ সেরে দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতা এখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে। তাঁদের সঙ্গে আরও শ-খানেক জনপ্রতিনিধি এসেছেন বিজেপিতে। এখনও দলবদলের ধারা অব্যাহত আছে। তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেসের ডাকসাইটে নেতা-নেত্রী, পঞ্চায়েত সদস্য-সদস্যারা একুশের ভোটের আগে নাম লেখাচ্ছেন বিজেপিতে।