প্রথম দফায় যুদ্ধে হেরে মুকুল-গর্জন, এবার তৃণমূলের ‘কেষ্ট’কে বুঝে নেওয়ার দাওয়াই
প্রথম দফার 'যুদ্ধ'-এ তৃণমূলের কেষ্ট-র কাছে হার স্বীকার করতে হয়েছে বিজেপির 'তুরুপের তাস' মুকুল রায়কে। তবে তিনি যে রণে ভঙ্গ দেওয়ার লোক নন, তা তিনি জানিয়ে দিলেন বীরভূমের মাটি থেকেই। অনুব্রত মণ্ডলকে তিনি ফের 'যুদ্ধে' নামার ডাক দিলেন। শনিবার বীরভূমে দাঁড়িয়ে মুকুল রায় বললেন, 'অনুব্রতকে নিয়ে বেশি ভাবার কিছু নেই। ওর জন্য আমাদের দলের একজন কাউন্সিলরই যথেষ্ট।'

[আরও পড়ুন:হারের আনন্দ উপভোগ করছেন তিনি! 'মা অন্নপূর্ণা'কে কৃতিত্ব দিয়ে চোখে জল মানসের]
উল্লেখ্য, কেষ্টর গড় থেকেই দুই পঞ্চায়েতের নেতাদের ভাঙিয়ে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু তারপর দিনই বিজেপিতে নাম লেখানো পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, যুব সভাপতিদের দলে ফিরিয়ে মুকুল রায়কে পাল্টা বার্তা ছুড়ে দেন অনুব্রত মণ্ডল। বুঝিয়ে দেন, পুরনো কায়দায় তৃণমূলকে ভাঙাতে পারবেন না মুকুল রায়। তারপরই মুকুল রায়ের বীরভূম সফর।
এই সফরে বেরিয়ে মুকুল রায় বলেন, 'আগামী নির্বাচনে বাংলায় পরিবর্তন আসবেই। বিজেপিই সেই পরিবর্তন আনবে। বাংলার বিজেপি সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে। বাংলার মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। কারণ তাঁরা বুঝেছেন বাংলায় প্রকৃত পরিবর্তন আসেনি। যে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী, তা বাংলা পায়নি। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে স্লোগান তুলেছিলেন- 'বদলা নয় বদল চাই', বাম শাসনের অবসানের পর উল্টোটাই ঘটেছে। তৃণমূল সরকার বদলার রাজনীতি করতেই ব্যস্ত।'
মুকুল রায় বলেন, 'বাংলায় এই পরিবর্তনের সূচনা হবে ২০১৮ থেকেই। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনকেই টার্গেট করা হচ্ছে বাংলা থেকে তৃণমূলের অপশাসনের মুক্তির জন্য। বীরভূমে এসে তিনি সাড়া পেয়েছেন মানুষের। শুধু বীরভূম নয়, জঙ্গলমহল-সহ সারা বাংলা জেগে উঠেছে, পরিবর্তনের পক্ষে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তা থেকেই সহজে অনুমেয় যে ২০১৯-এই প্রকৃত পরিবর্তন পূর্ণতা পাবে।
তিনদিনের বীরভূম সফর শুরু হয়েছে শনিবার থেকেই। এই সফরে মুকুল রায়ের সঙ্গে রয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ও। শনিবার বীরভূমের তাঁতিপাড়ায় মুকুল রায়ের জনসভা করার কথা ছিল। তিন্তু তা হয়নি পুলিশের অনুমতি না মেলায়। তার প্রতিবাদে রবিবার মহামিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। পুলিশ অনুমতি না দিলেও সেই মিছিল হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, বিজেপি পরিবর্তনের আর্জি নিয়ে বাংলা পরিভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনটি দলে ভাগ হয়ে বাংলা চষে বেড়াবে বিজেপি নেতৃত্ব। মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহার নেতৃত্বে তিনটি দল বিভিন্ন জেলা সফরে বের হবে। কোনও কোনও জায়গায় সম্মিলিতভাবে জনসভা হবে। বীরভূম দিয়েই সেই জেলা সফর শুরু করল বিজেপি।
[আরও পড়ুন:সবং বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতল তৃণমূল, গীতারানি হারালেন মানসের ব্যবধানকেও]