মুকুলের কাছে এখনও ফোন আসে তৃণমূল থেকে! একুশের আগে বিজেপিকে উল্টো চাপ
মুকুলের কাছে এখনও ফোন আসে তৃণমূল থেকে! একুশের আগে বিজেপিকে উল্টো চাপ
বাংলায় বিজেপি এখন আর বিজেপি নেই। বাংলায় বিজেপি ছেয়ে গিয়েছে তৃণমূলে। তৃণমূলের সব নেতারাই এখন বিজেপির ধারক-বাহক হয়ে উঠেছেন। মুকুল রায় প্রায় পুরো বিজেপিকেই তৃণমূলের নেতাদের দিয়ে ঢেকে দিয়েছিলেন। এখন শুভেন্দু এসে তা আরও ভরাট করেছেন। কিন্তু বিজেপিতে মুকুল রায়ের পজিশন কী, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে বারবার।
রাজ্যের ভোটে কতটা গুরুত্ব মুকুল রায়কে!
মুকুল রায় বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হয়েছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা তথা অনুগামীদের রাজ্যের বিভিন্ন পদে বসিয়েছেন। রাজ্য বিজেপি ও তার শাখা সংগঠনে স্থান পেয়েছেন মুকুল-ঘনিষ্ঠরা। কেন্দ্রীয় কমিটিতেও স্থান করে দিয়েছেন তাঁর অনুগামী নেতাকে। কিন্তু রাজ্যের ভোটে তাঁকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।
দিল্লিতে বিজেপির বৈঠকে অভিযোগ মুকুলের
সম্প্রতি দিল্লির বৈঠকে মুকুল রায় সেই অভিযোগ করেছেন। তিনি দিল্লিতে বিজেপির বৈঠকে অভিযোগ করেন, তাঁকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না রাজ্যে। শুধু অভিযোগ করেই ক্ষান্ত নন তিনি। রাজ্যে প্রায়ই তিনি নিস্ক্রিয় হয়ে যান। ফের কৈলাশ বিজয়বর্গীয় তাঁকে লাইমলাইটে ফিরিয়ে আনেন। সক্রিয় হন মুকুল রায়।
তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠা সহজ মুকুলের
মুকুল রায় তাঁর গুরুত্ব বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বরাবরই চাপে রাখার চেষ্টা করেন। বিজেপিকে বুঝিয়ে দেন, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা গড়ে ওঠা খুবই সহজ ব্যাপার। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ যেমন বিজেপিকে অনেকর সুবিধা দিতে পারে। আবার উল্টোটাও ঘটতে পারে। তাই বিজেপিকে তিনি মাঝেমধ্যেই তা মনে করিয়ে দেন।
‘ওদিক থেকে এখনও কিন্তু আমার ফোন আসে’
সম্প্রতি ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি এমন কথাও বলেছেন যে, ওদিক থেকে এখনও কিন্তু আমার ফোন আসে। মুকুল রায়ের এই কথা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। একুশের ভোটের আগে বিজেপিতে তাঁর গুরুত্ব বেড়েছে। তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। কিন্তু রাজ্য বিজেপিতে তিনি সেভাবে কোনও গুরুত্ব পাচ্ছেন না।
কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সক্রিয় করে তোলেন মুকুলকে
মুকুল রায় যোগ দেওয়ার পর এই তিন বছরে বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে অনেকটাই। তৃণমূলকে ভেঙে যে শক্তি বেড়েছে বিজেপির তাঁর সিংহভাগ কৃতিত্ব মুকুলের। কিন্তু মুকুল রায় মাঝে করোনা লকডাউন থেকেই নিস্ক্রিয় ছিলেন। তারপর অমিত শাহের দূত হয়ে এসে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় তাঁকে সক্রিয় করে তোলেন।
মোদীর চা চক্রে মুকুল রায়ের সঙ্গে মমতার কথা
কিন্তু বিজেপিতে পদ পাওয়ার পরও তাঁর গুরুত্ব সেভাবে না বাড়ায়, তিনি যে ক্ষুব্ধ তা প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। ফলত তিনি তৃণমূল-জুজু দেখাতেও পিছপা হচ্ছেন না বিজেপিকে। এরই মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁর 'সখ্যতা' রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনার পারদ চড়িয়েছে। মোদীর চা চক্রে মুকুল রায়ের সঙ্গে মমতার কথা অন্য মাত্রা পেয়েছে একুশের আগে।
মুকুল-জেঠু ফিরে আসুন, আবদার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের
সম্প্রতি আরও একটি ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দেয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য-সদস্যারা মুকুল রায়কে জেঠু সম্বোধন করে তৃণমূলে ফিরে আসার বার্তা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, মুকুল-জেঠু ফিরে আসুন।
দিল্লি তাণ্ডবের দায় কার! লালকেল্লার পর আন্দোলনরত কৃষকদের পরবর্তী গন্তব্য কোথায়?