নিজের গড়ে ‘তৃণমূলত্যাগী’ মুকুলের প্রাপ্তির ভাণ্ডার শূন্য, বিজেপিতে গিয়ে সাফল্য অধরা
মুকুল রায়ের জেলায় সাকুল্যে গেরুয়া শিবিরের প্রাপ্তি চারটি মাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত। জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে বিগ জিরো বিজেপি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিলীপ ঘোষের গড় জঙ্গলমহলে তৃণমূলকে কড়া টক্কর দিয়েছে বিজেপি, কিন্তু মুকুল রায়ের গড়ে বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য। মুকুল রায়ের গড় ব্যারাকপুর মহকুমা এলাকায় একটি পঞ্চায়েতও দখল করতে পারেনি বিজেপি। সাকুল্যে গোটা জেলায় গেরুয়া শিবিরের প্রাপ্তি চারটি মাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত। জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতিতে বিগ জিরো বিজেপি।
উত্তর ২৪ পরগনায় জেলা পরিষদে তৃণমূল কংগ্রেস ক্লিন সুইপ করেছে। জেলা পরিষদে ৫৭টি আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ বিরোধী শূন্য জেলা পরিষদ। শুধু জেলা পরিষদেই নয়, একই চিত্র পঞ্চায়েত সমিতিতেও। একটি পঞ্চায়েত সমিতিও পায় বিজেপি। ২২টি পঞ্চায়েত সমিতিই তৃণমূলের দখলে। ১৯৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৮৭টি পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি, দুটিতে বামফ্রন্ট জিতেছে এবং ছটি ত্রিশঙ্কু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলমুক্ত জঙ্গলমহল গড়াই স্বপ্ন বিজেপির, পঞ্চায়েতের ফলে উৎসাহী দিলীপ ঘুঁটি সাজাচ্ছেন ]
আর নিজের মহকুমায় মুকুল রায় একেবারেই ধরাশায়ী। তাঁর নতুন দল বিজেপি কোনও খাতাই খুলতে পারেনি। জঙ্গলমহলের দুই জেলায় ৬০টিরও বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েযে বিজেপি। ছটি পঞ্চায়েত সমিতি পেয়েছে। আর ব্যারাকপুরে বিজেপির প্রাপ্তি একেবারেই শূন্য। একটি গ্রাম পঞ্চায়েতও তারা পায়নি এবার।
এই মহকুমায় তৃণমূল কংগ্রেস একেবারে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখল করেছে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলার ব্যারাকপুরে মোট জেলা পরিষদ আসন ছটি। ছটিতেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। আর ব্যারাকপুরের দুই ব্লক মিলিয়ে রয়েছে মোট ৪২টি আসন। সেখানেই বিজেপি শূন্য। সবকটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। ব্যারাকপুরের ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতও দখল করে নিয়েছে শাসকদল। সেখানেও বিজেপির হাতে ওঠেনি একটি পঞ্চায়েতের ক্ষমতাও।
[আরও পড়ুন:জেলায় জেলায় বিরোধী প্রার্থীদের পক্ষে ছাপ মারা ব্যালট উদ্ধার, জেনে নিন বিস্তারিত]