মমতার বিরুদ্ধে আদালতে নালিশ মুকুল রায়ের! জড়ালেন মমতার মন্ত্রীদের নামও
আগেই তিনি হুঙ্কার ছেড়েছিলেন আদালতে যাওয়ার। সেইমতোই শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন মুকুল রায়।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই একের পর এক বোমা ফাটিয়ে যাচ্ছেন মুকুল রায়। সেই যে শুরু হয়েছিল ধর্মতলার মঞ্চ থেকে। ফাইল খুলে 'বিশ্ব-বাংলা', 'জাগো বাংলা' বিতর্কের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে এবার নালিশ ফোনে আড়িপাতার।
[আরও পড়ুন:বাবা-ছেলের লুকোচুরি ধরা পড়ে গিয়েছে! মুকুল-শুভ্রাংশুকে নিয়ে বেসুরো তৃণমূলেরই মন্ত্রী]
আগেই তিনি হুঙ্কার ছেড়েছিলেন আদালতে যাওয়ার। সেইমতোই শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন মুকুল রায়। মুকুল রায়ের অভিযোগ, তাঁর ফোন পরিকল্পিতভাবে আড়িপাতা হচ্ছে। রাজ্যে সরকারের তরফেই এই আড়িপাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবাকারী সংস্থা ও মোবাইল সংস্থা- উভয়কেই মামলায় জড়ান। বিচারপতি বিভু বাখরুর বেঞ্চে এই মামলাটি ওঠে। আগামী ২০ নভেম্বর অর্থাৎ সোমবার এই মামলার শুনানি হবে।
মুকুলবাবু এদিন অভিযোগ করেন, বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই তাঁর প্রতিটি নম্বরেই আড়িপাতা হচ্ছে। এ জিনিস সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম-নেতাই পর্বেও বামফ্রন্ট সরকার করেনি। এখন তৃণমূলের সরকার সেই গর্হিত কাজটাই করে চলেছে। তিনি এব্যাপারে রাজ্যের যে কোনও মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথাও বলেন। তিনি এমনও বলেন, প্রকাশ্যে না হলেও বাইরে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করবেন তৃণমূলের মন্ত্রীরাও। শুধু হাইকোর্টেই নয়, দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিসেও তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এদিন।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর আগেই মুকুল রায় তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কথামতো পুজোর পরই তিনি তৃণমূল ত্যাগ করেন। কিন্তু কোন দলে তিনি যোগ দেবেন, তা নিয়ে চাপানউতোর চলে প্রায় একমাস। দীর্ঘ ২৫ দিনের টানাপোড়েন পর্বের পর ৩ নভেম্বর দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন।
এরপর রাজ্যে ফিরেই তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। ফাইল দেখিয়ে হুঙ্কার ছাড়েন। এরপর ১০ নভেম্বর ধর্মতলার সভা থেকে তিনি বিশ্ব-বাংলা ও জাগো-বাংলা তোপ দাগেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, দুই সংস্থাই অভিষেকের নামে মালিকানা। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও জানেন না এই কথা। তারপর থেকেই তাঁর ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের।