মুকুলকে নিয়ে সংশয় তিমিরে বিজেপি, ভাগ্যোদয়ে বাধা কি কাটবে একুশে ভোটের আগে
মুকুলকে নিয়ে সংশয় তিমিরে বিজেপি, ভাগ্যোদয়ে বাধা কি কাটবে একুশে ভোটের আগে
মুকুল রায় তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ছিলেন। ছিলেন ইউপিএ সরকারের পূর্ণমন্ত্রীও। রেলের মতো দফতরও সামলেছেন তিনি। কিন্তু বিজেপিতে গিয়ে আড়াই বছর তিনি পদহীন। কোনও মন্ত্রিত্বও জোটেনি। কিন্তু কোথায় বাধা? কেন এতবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েও মুকুলের ভবিষ্যৎ 'ক্লিক' করছে না বিজেপিতে?
মুকুলের অন্তরায় বিজেপিতে
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্ভরযোগ্য সৈনিক মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বেশ কিছু প্রতিকূলতা নিয়ে। তাঁর যোগ দেওয়া নিয়ে কাজ করেছিল বেশ কিছু অন্তরায়। তিনি সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। আবার নারদা স্টিং অপারেশনেও তাঁর নাম ছিল। তাই মুকুলকে বিজেপিতে নেওয়া নিয়েই সংশয় ছিল।
মুকুলের কৃতিত্ব অস্বীকারের নয়
অনেক ভেবে মুকুল রায়কে দলে নেওয়া হয়েছিল। তাঁকে ব্যবহার করে বিজেপি গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবং ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে সাফল্যের শিখরে উঠেছিল মমতার বাংলার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের একাই কোমর ভেঙে দিয়েছিলেন মুকুল রায়। ২ থেকে বেড়ে বাংলায় ১৮ হয়েছিল বিজেপি।
মুকুলকে নিয়ে সংশয় দূর হচ্ছে না!
এহেন মুকুল রায়কেও বিজেপি কোনও পদ দেয়নি তারপর। বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ বা মন্ত্রী করা হয়নি কোনও দফতরের। আশলে তাঁকে নিয়ে দলের অন্দরে এখনও সংশয় রয়ে গিয়েছে। তাই মোদী মন্ত্রিসভায় তাঁকে স্থান দিতে গিয়ে বারে বারে ঠক্কর খেতে হচ্ছে বিজেপিকে।
তবু মুকুলের ভাগ্য-লাভের সম্ভাবনা
তা সত্ত্বেও ফের মন্ত্রিত্ব লাভের সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে মুকুলের। ২০২১ নির্বাচনের প্রাক্কালে তিনি যদি মন্ত্রী হল মোদীর ক্যাবিনেটে, তাহলে তা অবিশ্বাস্য হবে না। অমিত শাহের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠখ করে আসেন মুকুল রায়। তারপরই অমিত শাহ ভাবছেন কী ভাবে মুকুল রায়কে গুরুত্বের আসনে বসানো যায়।
মুকুলের বার্তা শুনেছেন শাহ
বর্তমানে বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনিই নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজেপিকে। শাহ কোনও বিশেষ পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ নেন। মুকুল রায়ের বিষয়টিও বিশেষ হিসেবেই বিবেচিত করে অমিত শাহ শোনেন মুকুল রায়ের কথা। মুকুল রায়ের সেই অসন্তুষ্টির কথা পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় শাহকে আগেই বলেছিলেন।
মুকুল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে
মুকুল রায় গত সাত দিনে দু'বার বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। শনিবার তিনি বাংলায় ফিরে আসার পর স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি শাহের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে রাজ্যের ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।
মুকুলের গুরুত্ব বাড়ানোর প্রয়াস
সম্প্রতি বিজেপিতে রদবদল হচ্ছে। মুকুল রায় পেতে পারেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতির পদও। এমন সম্ভাবনা ক্রমশই উজ্জ্বল হচ্ছে। বিজেপির বিভিন্ন সূত্র থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। মুকুল রায় দুদিন ধরে অমিত শাহের সঙ্গে যে বৈঠক করে এসেছেন, তার সুফলই পেতে চলেছেন তিনি। ফলে মুকুল রায়ের জন্য সুখবর অপেক্ষা করছে এই জুনেই, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মুকুল যখন তুরুপের তাস
এরপর রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে তিনি মন্ত্রীও হতে পারেন। আবার যে সে মন্ত্রক নয়, খোদ অমিত শাহের ডেপুটি হতে পারেন মুকুল রায়। একেবারে জোড়া তোফা অপেক্ষা করে আছে মুকুলের জন্য। অদূর ভবিষ্যতে তাঁর মাথায় উঠতে চলেছে এই সম্মান। মোট কথা ২০২১-এর আগে মুকুল রায়কে চাঙ্গা করার সমস্ত দাওয়াই প্রস্তুত বিজেপির।
থমকে গেল বিয়ের আয়োজন, ফেরা হল না বাড়ি, লাদাখে দেশরক্ষায় প্রাণ দিলেন বীরভূমের ছেলে