‘ছবি’তে নেই মুকুল! মোদীর সভায় দিলীপ বনাম বাবুলের পর বিজেপির আরও এক কাঁটা
বাবুল সুপ্রিয় বনাম দিলীপ ঘোষ প্রকাশ্যে বাকবিতণ্ডার পর। এছাড়া আরও এক বিসদৃশ দৃশ্য দেখা গেল মোদীর মঞ্চে, যা বিজেপির অস্বস্তি বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট।
বাংলার বুকে 'মিশন ২০১৯'-এর প্রথম জনসভা করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এলেন দেখলেন জয় করলেন মানুষের মন। কিন্তু কোথায় যেন তাল কেটে গেল সবকিছুরই। ভেঙে পড়ল মেদিনীপুরে মোদীর জনসভার প্যান্ডেল, তারপর বাবুল সুপ্রিয় বনাম দিলীপ ঘোষ বাকবিতণ্ডা সামনে এনে দিল বিজেপির অন্তর্কলহ। এছাড়া আরও এক বিসদৃশ দৃশ্য দেখা গেল মোদীর মঞ্চে, যা বিজেপির অস্বস্তি বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট।
মোদীর মঞ্চ আলো করে বর্তমান ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে দেখা গেলেও, কোনও এক অজানা কারণে বঙ্গ বিজেপির মুখ মুকুল রায়কে দেখা যায়নি সেভাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঞ্চে উপস্থিত হওয়ার পরও মুকুল রায়কে দেখা গিয়েছিল মঞ্চের এক কোণে। প্রধানমন্ত্রীর আশেপাশেও তাঁকে দেখা যায়নি মেদিনীপুরে বিজেপির মঞ্চে।
বলতে গেলে মেদিনীপুরের সভা ছিল পুরোপুরি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাতের মুঠোয়। যা কিছু করেছেন তিনিই। সেখানে প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহার 'প্রবেশ' থাকলেও, জায়গা নেই মুকুল রায়ের! পুরুলিয়ায় অমিত শাহের সভায় বহু জনসমাগম ঘটেছিল, সেই সাফল্যের কৃতিত্ব কার ছিল, তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল বিজেপির অন্দরে। তাই কি এবার দিলীপ ঘোষের গড়ে তিনি এককভাবেই দেখাতে চাইলেন তাঁর ক্যারিশ্মা।
শুধু মঞ্চের প্রথম সারিতে তাঁর অনুপস্থিতিই নয়, সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকেও সেভাবে মুকুল রায়ের নাম করতেও শোনা যায়নি। বিশ্বভারতীর সমাবর্তনেও প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে মুকুল রায় পৌঁছেছিলেন একেবারে শেষ মুহূর্তে। আর এবার পড়ে রইলেন পিছনের সারিতে। বিজেপির পয়লা নম্বর ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদীর কাছে সেভাবে গুরুত্বই পেলেন না।
ফলস্বরূপ মুকুল রায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা প্রশ্ন ফের উঠবেই। প্রথমত অমিত শাহ যদিওবা একটু-আধটু গুরুত্ব দেন, মোদী সেভাবে কি গুরুত্ব দেন না মুকুল রায়কে! এখনও পর্যন্ত একটা পদও জোটেনি বিজেপিতে। স্রেফ বিজেপি নেতা হিসেবেই তাঁর পরিচিতি। বছর ঘুরতে গেল বিজেপিতে এসেছেন, তাঁর আসার পরই একটু হলেও জোয়ার এসেছে বিজেপিতে, কিন্তু তাঁর গুরুত্ব কোথায়!
ক্রমশই দিলীপ ঘোষদের আড়ালে পড়ে যাচ্ছেন তিনি। যে সমস্যা হয়েছিল তৃণমূলে, বিজেপি প্রথম থেকেই তাঁর সেই অবস্থা। তৃণমূলে গুরুত্ব হারিয়ে সেকেন্ড ইন কম্যান্ড থেকে পিছনের সারিতে চলে গিয়েছিলেন। আর বিজেপিতে বাংলার মুখ হয়েও অনেক পিছনে তিনি। সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সামনে তাঁর প্রকাশ নেই।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে শেষ পূর্ণ অধিবেশন, কিন্তু এই লোকসভার ট্র্যাক রেকর্ডে আশাবাদী নন কেউই]