ব্যতিক্রমী মুকুলে মান্যতা পেল মমতার মত! দিলীপের সঙ্গে তৈরি হল তীব্র মতপার্থক্য
দিলীপ ঘোষ অস্ত্র হাতে মিছিল করে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শাসক তৃণমূলকে। কিন্তু এক্ষেত্রেও দলের রাজ্য সভাপতির থেকে ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করেছেন মুকুল রায়।
প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রাম-রাজনীতিতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল হয়েছে জেলায় জেলায়। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অগ্রভাগে থেকে এই মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অস্ত্র হাতে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শাসক তৃণমূলকে। কিন্তু এক্ষেত্রেও দলের রাজ্য সভাপতির থেকে ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করেছেন মুকুল রায়। তিনি নিরস্ত্র মিছিল করার ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এক দলে থাকলেও, মত যে তাঁদের এক নয়, তা আবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুকুল রায়। তিনি পদে পদে প্রমাণ করে দিচ্ছেন বিজেপিতে তিনি ব্যতিক্রম। বিজেপির দুই শীর্ষ নেতার এই মতপার্থক্যের দরুন বিতর্ক দানা বাঁধছে মাঝে-মধ্যেই। রামনবমীর মিছিল নিয়েও ঘটল মত-পার্থক্যের রাজনীতি। দিলীপ-লকেটরা অস্ত্র নিয়ে তাণ্ডব করলেন রাস্তায়। আর মুকুল নিরস্ত্র হয়েই মিছিল করলেন। করলেন জনসংযোগ। সেখান থেকেই রাম জন্মস্থানের চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তাঁর প্রাক্তন নেত্রীকে।
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামনবমীতে নিরস্ত্র মিছিল করার বার্তা দিয়েছিলেন সবাইকে। তিনি বলেছিলেন, অস্ত্র নিয়ে মিছিল বরদাস্ত করা হবে না। সবাই রামনবমীতে মিছিল করতে পারে অনুমতি সাপেক্ষে। কিন্তু কোনওমতেই অস্ত্র মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না।
সেই নির্দেশ মতোই নিরস্ত্র মিছিল করে বিজেপি নেতা মুকুল রায় রামনবমী পালন করলেন। কিন্তু বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতৃবর্গও যথারীতি অস্ত্র নিয়ে মিছিল করল। হেলমেটহীন বাইকে নিয়ে মিছিল করে তোপ দাগল শাসক দলের বিরুদ্ধে। শুখু তাই নয়, মিছিলে দেখা গেল অস্ত্র হাতে শিশুদেরও।
সেখানে মুকুল রায়ের রামনবমী অবশ্যই ব্যতিক্রমী বলতে হবে। তিনি অন্য বিজেপি নেতাদের থেকে আলাদা চলে নিরস্ত্র মিছিল করে দেখালেন, এভাবেও রামনবমী পালন করা যায়। অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার কোনও দরকার হয় না। আর এখানেই তাঁর সঙ্গে তীব্র মতভেদ তৈরি হল দিলীপ ঘোষের।
এর আগেও বিজেপির সংকল্প যাত্রা নিয়ে দুই নেতা দুই ভিন্ন মেরুতে অংশ নিয়েছিলেন। দুজনেই পৃথক রণকৌশল অবলম্বন করেছিলেন শাসকদলের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, সংকল্পযাত্রা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে কি না, তা নিয়ে মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষের মধ্যে তীব্র মতভেদ তৈরি হয়। একদিকে মুকুল রায় বলেন, 'আমাদের কর্মীরা যতই মার খাক, কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।' অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'কেন্দ্রের সহযোগিতা ছাড়া এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।' শেষপর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশ আসার পর বিজেপি রণকৌশল বদল করে।