রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের মন্ত্রীদের বিরোধী-শূন্য পঞ্চায়েতের বক্তব্যকে কটাক্ষ করলেন মুকুল রায়। দল পঞ্চায়েত নিয়ে যে দায়িত্ব তাঁর ওপর দিয়েছে, তা তিনি পালনের চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

তথ্য দিয়ে মুকুল রায় বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়াটাই বড় ফ্যাক্টর। পঞ্চায়েত নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে বড় নির্বাচন। এই নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রায় ৪৮ হাজার, পঞ্চায়েত সমিতিতে নয় হাজার এবং জেলা পরিষদের প্রায় ৮০০-র বেশি আসনে নির্বাচন হবে। ২০০৩ সালে প্রায় সাত হাজার আসনে কোনও নির্বাচন হয়নি অর্থাৎ সেই সব আসনে কোনও মনোনয়ন জমা পড়েনি। ২০০৮ সালে সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় ২৭৬২-তে। পরিবর্তনের ডাক দেওয়া সরকারের প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংখ্যাটা ছিল সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মধ্যে।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও বাধার সৃষ্টি না হয়, তার জন্য রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানাবে বিজেপি। কেননা নির্বাচন হলেই, বহু আসনে তৃণমূলের হার নিশ্চিত। এমনটাই দাবি করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাই তৃণমূল চাইছে একক প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হতে। বিজেপি চেষ্টা করছে এটা যাতে কোনও ভাবেই না হয়, সেটা দেখার।
পরিবর্তনের ডাক দিয়ে ক্ষমতায় এলেও, ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ৬৭ জনের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুকুল রায়। তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, ২০০৩-এর নির্বাচনে ১২০ জনের ওপর মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০৮ সালে ৮০ জনের ওপর মারা গিয়েছিলেন। ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনেও ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পরিবর্তনের ডাক দেওয়া হলেও ২০১৩-র নির্বাচনে মৃত্যুর এই সংখ্যা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির এই নেতা।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এমন কী বিধানসভার ভিতরেও বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েতের যে কথা বলছেন তার কড়া সমালোচনা করেছেন মুকুল রায়। এই বক্তব্যের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের মন্ত্রীরা কিসের ইঙ্গিত দিতে চাইছেন, সেই প্রশ্ন করেছেন মুকুল রায়।
Oneindia এর ব্রেকিং নিউজের জন্য . সারাদিন ব্যাপী চটজলদি নিউজ আপডেট পান.subscribe to Bengali Oneindia.