তৃণমূলের হয়ে ‘গুণ’ গাইলেন মুকল রায়! একুশের নির্বাচনের আগে ‘হিন্দু-মুসলিম’ ব্যাখ্যা
তৃণমূলের হয়ে ‘গুণ’ গাইলেন মুকল! একুশের নির্বাচনের আগে ‘হিন্দু-মুসলিম’ ব্যাখ্যা
রাজনীতির মধ্যগগনে মুকুল রায় ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তাঁর কথাই ছিল তৃণমূলের শেষ কথা। এখন তিনি বিজেপিতে। একুশের নির্বাচনের আগে গুরুত্ব বাড়িয়ে তিনি এখন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুকুল রায় তৃণমূলকে মুসলিম তোষণের অভিযোগ থেকে মুক্তি দিলেন।
তৃণমূল বিশেষ পক্ষের তোষণ করে
মুকুল রায় তৃণমূলকে মুসলিম তোষণে অভিযুক্ত করতে চান না। আবার হালে পুরোহিত ভাতা ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু তোষণের কালিমাও লাগাতে চান না তাঁর পুরো পার্টির গায়ে। তবে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিলেন, তৃণমূল দলটি এতদিন পর্যন্ত বিশেষ পক্ষকে সমর্থন করে এসেছে। এখন আবার একটা বিশেষ পক্ষকে সমর্থন করছে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ মুকুলের
মুকুলের কথায়, হিন্দু বা মুসলিম নয় তৃণমূল সর্বদা একটা বিশেষ পক্ষকে তোষণ করে চলে। ভোট-রাজনীতিতে সুবিধা পাওয়ার জন্যই এটা করে তৃণমূল। এখন যেমন পুরোহিত ভাতা, পুরোহিত সংবর্ধনা দিচ্ছে দিগ্বিদিকে। এসবই করছে বিশেষ একটি উদ্দেশ্য নিয়ে। উল্লেখ্য, পুরোহিত ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ উঠেছিল।
এখন হিন্দুদের সাহায্য দরকার, তাই
এতদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগ করে এসেছে বিজেপি। ইমাম-মোয়াজ্জিন ভাতা দেওয়া থেকে শুরু করে মুসলিম ভোট পেতে যা করার সবকিছুই করে তৃণমূল। মুসলিমদের কাছ থেকে সুবিধা নিতেই এসব করে তৃণমূল। এখন মনে করছে হিন্দুদের কাছ থেকে সাহায্যের দরকার। তাই পুরোহিত ভাতা চালু করেছে।
তৃণমূলের কৌশলের পিছনে বিশেষ অভিষন্ধি
মুকুলের কথায়, তৃণমূল যা করে সবকিছুই ভোটের দিকে চেয়ে। ভোট অঙ্ক বুঝেই ধর্মের রাজনীতি করছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করছে, তৃণমূলের এই কৌশলের পিছনে রয়েছে একটি অভিষন্ধি। তা হল- নিজেদের গা থেকে সংখ্যালঘু তোষণ, মুসলিম তোষণ তকমা ঘুচিয়ে দেওয়া। সেই কাজ সুচারুভাবে করা হচ্ছে।
লক্ষ্য ও দায়বদ্ধতা থেকে কেউ সরাতে পারবে না! রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করে নেতাইয়ে 'সমুখপানে' শুভেন্দু