মুখ্যমন্ত্রীর ‘স্বভাব’ চেনালেন মুকুল! জঙ্গলমহলে দেখালেন আন্দোলনের নয়া পন্থা
পুরুলিয়ার জনসভা থেকে তাই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধলেন মুকুল রায়।
তৃণমূল কংগ্রেস থেকে তাঁর ব্রাত্য হওয়া এখনও মেনে নিতে পারেননি মুকুল রায়। পুরুলিয়ার জনসভা থেকে তাই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় বিঁধলেন তিনি। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে মুকুল রায় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর স্বভাবই হল ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া। এখই ঘটনা আগেও ঘটেছে, এখনও ঘটছে। ভারতী ঘোষ থেকে শুরু করে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে একইভাবে ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'
[আরও পড়ুন: সংসদ নয়, বিধানসভাকেই সেরা বলছেন মমতা, পার্থ চান বিরোধীদের আরও সুযোগ]
পুরুলিয়ায় বিজেপির সভায় মুকুল রায় তোপ দাগেন, 'একজন মন্ত্রীর নিরাপত্তায় রাত পর্যন্ত ছটি গাড়ি ছিল, সকালে উঠেই তিনি দেখলেন তা কমে এক তৃতীয়াংশ হয়ে গিয়েছে। আসলে এটাই হল মুখ্যমন্ত্রীর স্বভাব। কখনও শোভন চট্টোপাধ্যায়, আর কখনও ভারতী ঘোষ- সবাই মুখ্যমন্ত্রীর 'ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলা দেওয়া' স্বভাবের বলি। রাজ্যে এমনই একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, কোনও পুলিশ অফিসারই বুঝতে পারছেন না- ওনার অবস্থা কী হবে।'
এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুরুলিয়ার মানুষ কোন পথে আন্দোলনে সামিল হবেন, তাও স্থির করে দেন মুকুল রায়। তিনি বলেন, 'ডিভিসি প্রকল্পের জমি নেওয়ার সময় রাজ্য সরকার কথা দিয়েছিল, ক্ষতিপূরণ ও চাকরি দেবে। কিন্তু তৃণমূলের ছোট বড় নেতারা সব চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে হবে।' মহিলারা উলু দেবেন, আর পুরুষরা হাততালি দিয়ে মুখে চোর স্লোগান তুলে আন্দোলন করবেন বলে জানান মুকুল রায়।
তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী শিল্প সম্মেলন করলেও কোনও নতুন শিল্প আসেনি। তবে রাজ্যে শিল্প যে হচ্ছে না, তা নয়। রাজ্যে নতুন 'শিল্প' হিসেবে উত্থান হয়েছে গরু পাচার, কয়লা পাচার, বালি পাচারের। তাই এই নতুন 'শিল্পে'র বাড়বাড়ন্ত রুখতে কেন্দ্রের কাছে মনিটরিং কমিটি গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্যের এই বেনিয়ম তাঁরা বরদাস্ত করবেন না, পুরুলিয়ার মঞ্চ থেকে সাফ জানিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। পঞ্চায়েতের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিরুদ্ধে তোপ বর্ষণ করেই চলছেন তিনি।