মমতা এখন পথভ্রষ্ট! পঞ্চায়েতেই শেষের শুরু তৃণমূলের, প্রচারে ঝড় তুলে খোঁচা মুকুলের
পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের শেষের শুরু হয়ে গেল। রবিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে মুকুল রায় আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে এক হাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের শেষের শুরু হয়ে গেল। রবিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে মুকুল রায় আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে এক হাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। বাংলার গণতন্ত্র আজ ভুলুণ্ঠিত। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাক থেকেছেন।'
[আরও পড়ুন: ভোটের আগে জোর ধাক্কা বিজেপিতে, শাসকের এক চালেই মাত হলেন মোদী-শাহ জুটি]
মুকুল রায় বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন বদলা নয় বদল চাই। বদল হয়েছিল রাজ্যে। কিন্তু লাভ কী হল! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল পথভ্রষ্ট হয়ে তো ফিরে গেল সেই বদলার রাজনীতিতে। তিনি বলেছিলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেন। কিন্তু কোথায় কী- বাংলায় যেটুকু গণতন্ত্র ছিল, সেটুকুও শেষ হয়ে যেতে বসেছে।'
এখন মুখ্যমন্ত্রী থেকে অন্যান্য মন্ত্রীরা সবাই বলছেন বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েত চাই। তাঁদের কথাতেই পরিস্ফুট হয়ে যাচ্ছে বাংলায় গণতন্ত্রের কী হাল! মুকুল রায় এদিন দলের কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, 'আমি কৃতজ্ঞ যে, আমার দলের কর্মীরা বুথ আগলে লড়াই করছেন। তৃণমূল এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ছে না।'
তিনি এদিন বামকর্মীদের কাছেও তৃণমূল বিরোধী লড়াইয়ে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান। কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করেন, তৃণমূলের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অধিকারের লড়াইয়ে সবাইকে এক হতে হবে। বিজেপির নেতৃত্বে বিরোধীদের লড়াইয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মুকুলের কথায়, প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, বাংলায় এখন তৃণমূলকে লড়াই দিতে পারে একমাত্র বিজেপি। তিনি এদিন উর্দিধারীদের ব্যাজ খুলে ফেলার পরামর্শ দেন। বলেন, 'সত্যমেব জয়তে লেখা ব্যাজ পরার যোগ্যতা নেই রাজ্যের আইপিএস অফিসারদের।'
[আরও পড়ুন: মমতাকে আটকাতে অধীরের নয়া পঞ্চায়েত-প্ল্যান, তুরুপের তাস তৃণমূলেরই প্রাক্তন মন্ত্রী ]