মমতা অঘোষিত জরুরি অবস্থা চালাচ্ছেন বাংলায়, মানসিক ভারসাম্যহীন তোপ মুকুলের
বাংলার জনাদেশ মানতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্যই পুলিশকে দিয়ে জায়গা দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে মুকুল রায়ের দাবি।
বাংলার জনাদেশ মানতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্যই পুলিশকে দিয়ে জায়গা দখল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মুকুল রায়ের দাবি, ১৯৭৫ সালের আজকের দিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সারা দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। সেদিন ছিল স্বঘোষিত জরুরি অবস্থা, আর আজ বাংলায় অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন
মুকল রায় বলেন, এক লোকসভা ভোটে হেরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। তাই ভোটের ফলাফ প্রকাশের পরই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের টলমল অবস্থা। বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় এসেও তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না।
জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গে মুকুলের খোঁচা মমতাকে
মঙ্গলবার বাঁকুড়া সমিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আহত কর্মীদের দেখতে যান মুকুল রায়। সেখানে গিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি গর্জে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। জরুরি অবস্থার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে খোঁচা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে বলে দাবি করেন মুকল।
জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ায় খেতে হল গুলি!
এদিন মুকুল রায় বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি বলেন, জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ায় যদি গুলি খেতে হয়, তবে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক কিছু হয় না'। পুলিশ বলছে তারা গুলি চালায়নি, তাহলে গুলি চালাল কে, সেই প্রশ্নও তুলে দেন মুকুল রায়। এবং এই ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেন।
গুলি চালানোর প্রেক্ষাপটে যে ঘটনা
উল্লেখ্য, শনিবার পাত্রসায়রে শুভেন্দু অধিকারী জনসংযোগ যাত্রা সেরে ফেরার পথে স্থানীয় কাঁকরডাঙা মোড়ে সংঘর্ষ ঘটে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের। সেই সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র-সহ তিন জন। আহত ছাত্র সৌমেন বাউরি, তাপস বাউরি ও টুলু খাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় বাঁকুড়া মিলিটারি কলেজ ও হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।
[আরও পড়ুন: কাঁকিনাড়ায় শান্তি মিছিলে ধুন্ধুমার! বাম-কংগ্রেসের অবস্থান বিক্ষোভ]
[আরও পড়ুন:বাংলাদেশের সাহায্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে চান মমতা! দিলীপ হানলেন মোক্ষম বাণ]