মমতার নাম ‘মউ-দিদি’! ‘বেস্ট-বেঙ্গলে’ লগ্নি প্রস্তাব নিয়ে তীব্র কটাক্ষ মুকুলের
সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও প্রচুর মউ স্বাক্ষর করছেন। তাই সোমনাথবাবুকে যেমন মউ-দাদা বলা হত, তেমনই আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর নাম এখন মউ-দিদি।
বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি আগেই জানিয়েছিলেন মুকুল রায়। এবার তাঁর এক সময়ের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মউ-দিদি বলে আক্রমণ শানালেন। মুকুল রায় কোচবিহারের একটি জনসভা থেকে বলেন, 'সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মতো আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও প্রচুর মউ স্বাক্ষর করছেন। তাই সোমনাথবাবুকে যেমন মউ-দাদা বলা হত, তেমনই আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর নাম এখন মউ-দিদি।'
ওয়েস্টবেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান থাকাকালীন প্রচুর মউ স্বাক্ষর করেছিলেন সিপিএম সাংসদ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। সেই কারণে বিরোধীরা তাঁকে মজা করে মউ-দাদা বলত। এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাণিজ্য সম্মেলনের নামে নাচা-গানার আসর বসিয়ে প্রচুর মউ স্বাক্ষর করছেন বলে অভিযোগ মুকুল রায়ের। এই মউ স্বাক্ষরের কোনও পরিণতি নেই বলেই মত প্রকাশ করেন তিনি।
মুকুল রায়ের অভিযোগ, 'বছর বছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলণের আয়োজন করে শুধু নাচাগানা ছাড়া কিছু হচ্ছে কি? ক'টা শিল্প এসেছে এ রাজ্য? বিগত তিনটি বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি কত টাকার লগ্নি আনতে পেরেছেন, তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে বলুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি হিসাব দিন গত ছ-বছরে বাণিজ্য সম্মেলনের নামে কত টাকা খরচ করেছেন।'
এদিন মুকুল রায় কটাক্ষ করেন, 'তৃণমূল আর রাজনৈতিক দল নেই। তৃণমূল পিসি-ভাইপোর কোম্পানি হয়ে গিয়েছে।' বিজেপির যুব সংগঠন যুব-মোর্চার ডাকে ১২ জানুয়ারি প্রতিরোধ সংকল্প যাত্রা শুরু হয়েছিল কাঁথি থেকে। আর তা শেষ হয়েছে কোচবিহারে। সেই উপলক্ষেই এদিন কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে যুব মোর্চা সভার আয়োজন করে। সেই সভাতেই মুকুল রায় চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মুকুল রায় দল ছাড়ার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত। তিনি বিশ্ববঙ্গ স্বত্ত্ব বিতর্ক দিয়ে শুরু করেছিলেন পিসি-ভাইপোকে আক্রমণ করতে। এখনও সেই ধারা বর্তমান। এবার আবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে নিয়ে তিনি সরব হয়েছেন। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সনম্মেলন করে রাজ্যের কোন ফায়দা হচ্ছে না বলে তাঁর মত। তাই মউ স্বাক্ষর করে কোনও লাভ হবে না রাজ্যের। রাজ্যে যে শিল্প চলে গিয়েছে, তা তৃণমূলের আমলে আর আসবে না বলে মন্তব্য মুকুল রায়ের।