মমতাই দায়ী সন্দেশখালি-হিংসায়! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রিপোর্ট পাঠালেন মুকুল
ভোট-পরবর্তী হিংসায় অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালির রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠালেন রাজ্য বিজেপির নেতা মুকুল রায়। তিনি হিংসা ছড়ানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সরাসরি দায়ী করেন।
ভোট-পরবর্তী হিংসায় অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালির রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঠালেন রাজ্য বিজেপির নেতা মুকুল রায়। তিনি হিংসা ছড়ানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সরাসরি দায়ী করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে মুকুল বলেন, শুধু সন্দেশখালিই নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন।
উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে দুই দলের সংঘর্ষের এক তৃণমূলকর্মী ও তিন বিজেপিকর্মীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সৌমিত্র খাঁয়ের নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দলও পরিদর্শনে যান সন্দেশখালিতে।
কয়েকদিন ধরেই এলাকায় দখলদারি নিয়ে উত্তপ্ত ছিল এলাকা। তৃণমূলের মিছিল যাওয়ার সময় বিজেপির পতাকা খোলা নিয়ে ঝামেলা বাধে। বাধা দেয় বিজেপি কর্মীরা। দুপক্ষের বিরুদ্ধে গুলি চালানো অভিযোগ ওঠে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী কায়েম মোল্লার। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, তাদের কর্মী তপন মণ্ডল, সুকান্ত মন্ডল ও প্রদীপ মণ্ডলের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও দু-জন নিখোঁজ বলে দাবি বিজেপির।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার অন্তর্গত হাটগাছি গ্রামে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। সেখানে ৪৯ নং বুথে বিজেপির ফ্ল্যাগ খুলে তৃণমূলের ফ্ল্যাগ লাগানো হচ্ছিল। তা থেকেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। বচসার থেকে হাতাহাতি পর্যায়ে পৌঁছে যায় পরিস্থিতি।
এই অগ্নিগর্ভ অবস্থার মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। গুলি চালায় দুপক্ষই। গুলিতে জখম হন দু'পক্ষের কয়েকজন। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এক জনের। বিজেপির দাবি তাদের তিন কর্মীকে পাল্টা গুলি করে খুন করেছে তৃণমূল।