মুকুল-অনুগামীরাই ডানহাত-বামহাত দিলীপের! ২০২১-এর আগে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ বিজেপিতে
মুকুলের অনুগামীরাই ঘিরে থাকবেন সর্বদা, ২০২১ ভোটযুদ্ধের আগে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ দিলীপের
মুকুল রায় বিজেপির রাজ্য কমিটিতে না থাকলেও, তার অনুগামীদের ভিড় দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বাধীন রাজ্য কমিটিতে। এতদিন দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহার অনুগামীদের রাজ্য কমিটিতে প্রাধান্য থাকলেও, এবার মুকুল রায় ডালপালা বিস্তার করলেন ভালোই। তাঁর অনুগামীরাই বিভিন্ন শাখা সংগঠনের মাথায়।
মুকুলের অনুগামীদের নিয়েই চলতে হবে দিলীপকে
এদিন রাজ্য কমিটিতে বিশেষ নাক গলাতে পারতেন না মুকুল রায়। এবার সব্যসাচী দত্ত থেকে শুরু করে সৌমিত্র খাঁ, ভারতী ঘোষদের উপস্থিতি মুকুল রায়কে অনেক অ্যাডভান্টেজ দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিজেপির রাজ্য কমিটিতে মুকুলের অনুগামীদের নিয়েই চলতে হবে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।
তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে এসে গুরুত্ব পেলেন যাঁরা
মুকুল রায় ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে এনেছিলেন যাঁদের, তাঁদের অনেকেই ঢুকে গিয়েছেন বিজেপির মেন স্ট্রিমে। সব্যসাচী তো মুকুল-অন্ত প্রাণ। আর সৌমিত্র খাঁও মুকুল অনুগামী বলে পরিচিত। ভারতী ঘোষও মুকুলের লোক বলে জানে বিজেপি। তারপর দল পরিবর্তন করে যাঁরা বিজেপিতে এসেছেন, তাঁদের বেশিরভাগই মুকুলপন্থী।
আড়াই বছরেও পদ নেই তো কী! ডালপালা মিলেছে বিস্তর
মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন নয় নয় করে আড়াই বছর পার হয়েছে। কিন্তু বিজেপিতে এসেও তিনি কোনও সাংগঠনিক পদ পাননি এখনও। সংগঠন তৈরিতে সিদ্ধহস্ত মুকুল রায়েরই পদ নেই বিজেপিতে। তবে তিনি নির্বাচন কমিটির মাথায় ছিলেন, আছেনও। নির্বাচন ফোরালেই তিনি স্রেফ বিজেপি নেতা বনে যান। তবে এবার তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা কমিটিতে প্রবেশ করায় তিনি না থেকেও থাকবেন কমিটিতে, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিজেপিতে রদবদল ঘটিয়ে উচ্চস্থানে সেই তৃণমূলত্যাগীরা
বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলে দলত্যাগীদের ভিড়ই নজরে এসেছে বেশি করে। তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেস ছেড়ে আসা নেতারাই সংখ্যাগুরু বিশেষ পদগুলিতে। ২০২১-এর লক্ষ্যে বঙ্গ বিজেপি বড়সড় রদবদল ঘটিয়ে ফেলল। উচ্চস্থান দেওয়া হল দলত্যাগীদের। করোনা লকডাউনের মধ্যেই একুশের বিধানসভা বিধানসভা ভোটের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিল বিজেপি। তৃণমূলত্যাগী নেতারা পেলেন গুরুদায়িত্ব। কংগ্রেস-সিপিএম ত্যাগীরাও মর্যাদা পেলেন।
দল ছেড়ে বিজেপিতে উচ্চপদে মুকুল অনুগামীরা
মুকুল ঘনিষ্ঠ বিধানগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত বিজেপিতে যোগ দিয়ে পেলেন সম্পাদক পদ। অর্জুন সিং হলেন সহ সভাপতি। সৌমিত্র খাঁ হয়েছেন যুব মোর্চার সভাপতি। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ভারতী ঘোষও পেয়েছেন সহ সভাপতির পদ। সিপিএম ছেড়ে আসা মাফুজা খাতুনকে সহ সভাপতি করা হয়েছে বিজেপির। আর এক সিপিএম ত্যাগী নেতা খগেন মুর্মুকে করা হয়েছে এসটি মোর্চার সভাপতি। আর এসসি মোর্চার সভাপতি করা হয়েছে কংগ্রেস ছেড়ে আসা দুলাল বরকে।
বর্ষায় পঙ্গপালের দৌরাত্ম কি কমতে পারে! বিশেষজ্ঞরা শোনালেন ভয়াবহ বার্তা