মুকুল-ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট নেতা কি এবার তৃণমূলের পথে, মমতাকে নিয়ে মন্তব্যে জল্পনা
বিধানসভা নির্বাচনের হারের পরই নিজেকে অন্তরালে রেখেছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিধাননগর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তারপরই তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তাঁর তৃণমূলে ঘরওয়াপসির সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল গুঞ্জন।
বিধানসভা নির্বাচনের হারের পরই নিজেকে অন্তরালে রেখেছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিধাননগর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তারপরই তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তাঁর তৃণমূলে ঘরওয়াপসির সম্ভাবনা নিয়ে শুরু হয়েছিল গুঞ্জন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তাঁর একটি মন্তব্য ফের উসকে দিল তৃণমূলের ফেরার জল্পনা।
তৃণমূলে ফেরা নিয়ে ফের জল্পনা সব্যসাচীকে নিয়ে
তৃণমূল নেতৃত্বের উপর চরম বিদ্বেষের পর মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। ২০১৯ লোকসভা ভোটের পর যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এরপর বিজেপির টিকিটে বিধাননগর থেকে প্রাক্তন সতীর্থ সুজিত বসুর বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে নামেন। কিন্তু ভোটে হার মেনে তিনি অন্তরালে চলে যাওয়াতেই তাঁর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসায় সব্যসাচী
সব্যসাচী দত্ত এদিন প্রকাশ্যে এসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন। দল ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে ছাড়েননি। কিন্তু এদিন ভিন্ন সুর শোনা যায় তাঁর কণ্টে। সব্যসাচী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার থেকে বয়সে বড়। তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আমার খারাপ হয়নি। আর ওনার রাজনৈতিক ম্যাচিওরিটির সঙ্গে আমার কোনও তুলনা চলে না। ওনার সঙ্গে আমার কোনও প্রতিযোগিতাও নেই।
তবে কি এবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন? কী বললেন সব্যসাচী
সব্যসাচীর শেষ দুই কথা নিয়েই বেশি চর্চা চলছে। মমতার রাজনৈতিক প্রজ্ঞার প্রশংসা আর কোনও প্রতিযোগিতা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ভালো। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি তিনি এবার তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন? মুকুল রায়কে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল ভোটের ফল প্রকাশের পরই। এবার তাঁর 'শিষ্য' সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে জল্পনার পারদ চড়ল।
সব্যসাচীকেও কি দেখা যাবে সোনালি-সরলাদের দলে?
ইতিমধ্যেই সোনালি গুহ, সরলা মুর্মু, অমল আচার্যরা প্রকাশ্যেই তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন। তবে কি সব্যসাচীকেও দেখা যাবে সেই দলে? এই প্রশ্নের উত্তরে দুঁদে রাজনীতিবিদের মতোই উত্তর দিয়েছেন সব্যসাচী। তিনি বলেন, যাঁরা ফিরতে চাইছেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। আমার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। এইসব জল্পনা সংবাদমাধ্যমের তৈরি।
জল্পনা উড়িয়ে জবাব দিলেন সব্যসাচী দত্ত
সব্যসাচী জল্পনা উড়িয়ে জবাব দিয়েছেন, ভোটের ফল প্রকাশের পর দলের কোনও পর্যালোচনা হয়নি এখনও। তবে আগামী দিনে দলের কর্মী হিসেবেই দেখা যাবে আমাকে। সব জল্পনার নিবৃত্তি ঘটিয়েছেন তিনি। তবে তারপরও গুঞ্জন থেমে থাকছে না। সোনালি, সরলা, অমলদের পাশাপাশি সব্যসাচীদেরও ঘরওয়াপসি নিয়ে জল্পনা চলছে।
দরাজ প্রশংসায় তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে জেতের পর দলবদলুদের নিয়ে বলেছিলেন, আসুক না, কে বারণ করছে। এলে স্বাগত। তারপর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দরাজ প্রশংসা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা গেল মুকুল-ঘনিষ্ঠ নেতা সব্যসাচী দত্তের কণ্ঠে। আর ভোটের সময় মুকুলের প্রশংসায় হঠাৎ পঞ্চমুখ হয়েছিলেন মমতা। তাতেই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা চড়ছে।