মুকুল ঘনিষ্ঠ আরও এক নেতা বিজেপিতে ‘বিদ্রোহী’! জল্পনা বেড়েই চলেছে একুশের আগে
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপিতে অশান্তি বেড়েই চলেছে। রাজ্য বিজেপির সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না। কেন্দ্রীয় নেতারা মুখে একতার বার্তা দিলেও রাজ্য বিজেপিতে বিভাজন রেখা স্পষ্ট হচ্ছে।
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপিতে অশান্তি বেড়েই চলেছে। রাজ্য বিজেপির সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না। কেন্দ্রীয় নেতারা মুখে একতার বার্তা দিলেও রাজ্য বিজেপিতে বিভাজন রেখা স্পষ্ট হচ্ছে। মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষ-ঘনিষ্ঠ নেতারা দু-ভাগ হয়ে যাচ্ছেন বিজেপিতে। ফের মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতা বিজেপিকে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন।
রাজ্য বিজেপিতে দিলীপ শিবিরই ছড়ি ঘোরাচ্ছে
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, রাজ্য বিজেপিতে এখনও দিলীপ শিবিরই ছড়ি ঘোরাচ্ছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতারা দলে সেই অর্থে গুরুত্ব পায় না। একপ্রকার দলের অন্দরে কোণঠাসা হয়ে রয়েছেন তাঁরা। এই দমবন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে থেকেই মাঝেমধ্যে তাঁরা জ্বলে উঠছেন।
বিজেপিতে গিয়েও ফায়দা লুটতে পারেননি অনুপম
রাজনৈতিক মহলের অভিমত, ঠিক এমনই অবস্থা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অনুপম হাজরার। তিনি বিজেপিতে গিয়ে তেমন কোনও জায়গা পাচ্ছেন না। অনেকের আড়ালে হারিয়ে গিয়েছেন। মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে গিয়েও তিনি কোনও ফায়দা লুটতে পারেননি। যাদবপুরের টিকিট পেয়েছিলেন, কিন্তু কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।
অগ্নিমিত্রা পালের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা
এই অবস্থায় তিনি বিজেপির পতাকা হাতে আন্দোলনে নেমে কখনও-সখনও গর্জে ওঠেন। এবার সুযোগ পেয়ে বিশ্বভারতী-কাণ্ডে বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করলেন। ফলে বিজেপির মধ্যেই দুটি ভিন্ন অবস্থান পরিস্ফুট হল। সেইসঙ্গে শুরু হল বিতর্কও।
রীতিমতো জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন অনুপম
বিশ্বভারতী-কাণ্ডে মুখ খুলে রীতিমতো জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন অনুপম। দলকেও ফেলে দিলেন চরম অস্বস্তিতে। প্রশ্ন উঠে পড়ল হঠাৎ করে এমন দলবিরোধী অবস্থান কেন নিলেন অনুপম হাজরা। শুধুই কি শান্তিনিকেতন-বিশ্বভারতীয় প্রতি আবেগ, নাকি ভিতরে অন্য কোনও খেলা রয়েছে! প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।
বিশ্বভারতীতে পৌষমেলার মাঠের প্রাচীর তোলা প্রসঙ্গে
বিশ্বভারতীতে পৌষমেলার মাঠের প্রাচীর তোলা প্রসঙ্গে বিজেপির মহিলা মোর্চা রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, পৌষমেলার মাঠে সেক্স ব়্যাকেট চলে। গাঁজা-চরস আরও অনেক কিছুর ব্যবসা চলে। এই কাজে তাঁর ইঙ্গিত ছিল বিশ্বভারতীয় একাংশ ছাত্রছাত্রীর দিকেও। তাই এখানে পাঁচিল তুলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, এটা বুঝতে হবে, এখন তো আর গুরুদেবের বিশ্বভারতী নেই এটা, এখন অনেক কিছুই বদলে গিয়ে্ছে।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপক হিসেবে আবেগি অনুপম
এই পরিস্থিতিতেই মুখ খোলেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপক তথা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, বিশ্বভারতীতে ছাত্র ছিলাম। আবার এখানেই অধ্যাপনা করেছি। সেক্স ব়্যাকেট চলে বলে আমার জানা নেই। ফলে কে কী বলল, সেটা আমি দেখতে যাব না। এখানে ছোট থেকে বড় হয়েছি, বিশ্বভারতীয় নিয়ে আমরা একসঙ্গে লড়ব।
বিশ্বভারতী একটা আবেগের নাম
অনুপম বলেন, তার মানে এই নয় যে বিশ্বভারতীর নামে ভুলভাল বলব। বিশ্বভারতীয় রেপুটেশন খারাপ করে দেব। বিশ্বভারতী একটা আবেগের নাম। ফলে বিশ্বভারতীর গায়ে কলঙ্ক লেপন মানব না। যিনি এ কথা বলেছেন, এটা তাঁর দায়িত্ব। তাঁর এই বক্তব্যের ফলে রাজ্য বিজেপিতে বিতর্ক শুরু হয়েছে।