তৃণমূলে মোহভঙ্গ মা-মাটি-মানুষের! পঞ্চায়েতেই যুযুধান মমতা বনাম মুকুল
বিজেপির উত্তরীয় গায়ে জড়়িয়েই রাজ্যে পরিবর্তনের আওয়াজ তুলে দিয়েছিলেন মুকুল রায়। সেই কথারই সূত্র ধরে মুকুল এবার তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে।
বিজেপির উত্তরীয় গায়ে জড়়িয়েই রাজ্যে পরিবর্তনের আওয়াজ তুলে দিয়েছিলেন মুকুল রায়। সেই কথারই সূত্র ধরে মুকুল এবার তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন। শনিবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির পার্টি অফিসে দাঁড়িয়ে তিনি বুঝিয়ে দেন, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটেই তৃণমূল বুঝতে পারবে কত ধানে কত চাল।
তাঁর কথায়, 'তলায় তলায় মানুষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়েছেন। তৃণমূলকে হারানোর জন্য বাংলার মানুষ প্রস্তুত। তাই পঞ্চায়েত ভোটে কী হবে কেউ জানেন না। ছ-বছরেই মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে তৃণমূলের প্রতি। যে লক্ষ্য নিয়ে পরিবর্তন হয়েছিল রাজ্যে, তৃণমূল কংগ্রেস সেই পথ থেকে এখন সরে এসেছে। এই পদস্খলনের জন্য তৃণমূলকে অবশ্যই মাশুল গুণতে হবে।'
শুক্রবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মুকুল রায় বলেছিলেন, রাজ্যে আরও এক পরিবর্তন আসছে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়। আগামী ২০১৯ থেকে ২০২১-এর মধ্যেই আর এক পরিবর্তনের সাক্ষী থাকবে রাজ্য। রাজ্যে প্রকৃত পরিবর্তনের সরকার গড়বে বিজেপিই। আর এই ঘোষণার একদিন পরেই তিনি স্থির করে দিলেন বিজেপির পরবর্তী লক্ষ্য।
মুকুলের কথায় পরিষ্কার, পঞ্চায়েতকেই পাখির চোখ করেছেন তিনি। মুকুল রায় বিজেপিতে নাম লেখালেও এখনই কোনও বড় নাম তাঁর সঙ্গে নেই। এখনই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে বড় কেউ না এলেও, তৃণমূলের নিচুতলায় অনেক নেতা-কর্মী ইতিমধ্যে দল ছেড়েছেন। পরবর্তী সময়ে অনেকে দল ছাড়তে শুরু করেছেন, অনেকে আগামীদিনে ছাড়বেন বলেও তাঁর বিশ্বাস।
মুকুল রায় বলেন, 'উপর থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব বুঝতে পারছেন না, পঞ্চায়েতের যুদ্ধে তৃণমূলের কতটা শক্তিক্ষয় হতে চলেছে। পঞ্চায়েতের ফলাফল প্রকাশের পরই মা-মাটি-মানুষের দল বুঝতে পারবে সে কথা। অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে যাবে তখনই।'