বিজেপির রথ ছুটবেই বঙ্গে, নিরাপত্তার দায়িত্ব মমতার প্রশাসনের, কৌশলী চাল মুকুলের
আসছে ২০১৯-এর মহাযুদ্ধ। তার আগেই রাজ্যে টানটান উত্তেজনা রথযাত্রাকে ঘিরে। ক্রমশই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। বাড়ছে তৃণমূল বনাম বিজেপির বাকযুদ্ধও।
আসছে ২০১৯-এর মহাযুদ্ধ। তার আগেই রাজ্যে টানটান উত্তেজনা রথযাত্রাকে ঘিরে। ক্রমশই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। বাড়ছে তৃণমূল বনাম বিজেপির বাকযুদ্ধও। এবার মুখ খুললেন মুকুল রায়। সাফ জানালেন- রথযাত্রা হবেই। আর নিরাপত্তা দেবে রাজ্য সরকার। হাইকোর্টে মামলার হুঁশিয়ারির পাশাপাশি তিনি নিরাপত্তার দায়িত্ব চাপালেন রাজ্যের কাঁধেই।
অনুমতি দিক বা না দিক রথযাত্রা হবেই
শিলিগুড়িতে এক দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মুকুল রায় বলেন, রাজ্য সরকার অনুমতি দিক বা না দিক বঙ্গে রথযাত্রা হবেই। বাংলায় এবার ছুটবে বিজেপির রথ। আর বিজেপির রথ ছোটাতে নিরাপত্তা দিতে হবে রাজ্যকেই। তিনি এই মন্তব্য করে কৌশলে রাজ্যের ঘাড়েই দায়িত্ব বর্তালেন।
বিজেপির রথযাত্রা মিশবে মোদীর সভায়
বিজেপি রাজ্যে রথযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছে ৫, ৭ ও ৯ ডিসেম্বর। ৫ ডিসেম্বর বীরভূমের তারাপীঠ থেকে, ৭ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গে কোচবিহার থেকে, আর ৯ ডিসেম্বর গঙ্গাসাগর থেকে রথযাত্রার সূচনা হবে। তারপর তিন রথ মিশে যাবে নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডের সভায়। তবে মোদীর সভার দিন এখনও অনিশ্চিত।
রথ ছোটানো নিয়ে নিরাপত্তা বিতর্ক
তবে এখন বিতর্ক রাজ্যের তিন প্রান্ত থেকে রথ ছোটানোর নিরাপত্তা নিয়ে। কেননা এখনও রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই চিঠির কোনও উত্তর মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। আদৌ অনুমতি মিলবে কি না তা নিয়েই সন্দিহান বঙ্গ বিজেপি।
ঢাকঢোল পিটিয়ে রথযাত্রার প্রস্তুতি
প্রস্তুতি এদিকে মোদীর সভার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত না হলেও, অমিত শাহ-সহ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এবার যে ঢাকঢোল পিটিয়ে রথযাত্রা হবে, তা বলাই বাহুল্য। সেইমতো প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। অনুমতি না মিললেও রথযাত্রা করবে বিজেপি। আবার উল্টোদিকে বিজেপি রথের চাকা রোখার পরিকল্পনাও করছে তৃণমূল-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি।
[আরও পড়ুন:নেতাজি স্মরণে আন্দামান হোক স্বরাজ, নিকোবর শহিদ! মোদীকে চিঠি লিখলেন চন্দ্র]