মুকুল রায় ফের হারাতে পারেন দিলীপ ঘোষকে! একুশের ভোটের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা
ফের একবার দিলীপ ঘোষকে হারিয়ে মুকুট উঠতে পারে মুকুল রায়ের মাথায়। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বঙ্গ বিজেপির রণনীতি নির্ধারণ নিয়ে বৈঠকে এমনই সম্ভাবনা জোরদার হচ্ছে। মুকুলের পালেই হাওয়া বইছে বলে স্পষ্ট আঁচ মিলেছে দলীয় সূত্রে। মোদী-শাহ-নাড্ডারা ভরসা রাখছেন মুকুল রায়ের উপরেই। বাংলার নির্বাচন কমিটি হতে পারে মুকুলের নেতৃত্বেই।

বঙ্গ বিজেপির রণনীতি নিরূপণে বৈঠক
বৃহস্পতিবার বঙ্গ বিজেপির রণনীতি নির্ধারণে বৈঠকে ডেকেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেই বৈঠকে যোগ দিতেই দিল্লিতে গিয়েছেন মুকুল রায়। এই বৈঠকে থাকার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র, সর্বভারতীয় সম্পাদক শিব প্রকাশ এবং অরবিন্দ মেননেরও। শেষোক্ত তিনজনেই বাংলার ভোটের দায়িত্বে রয়েছেন। থাকার কথা রাহুল সিনহারও। তবে তা চূড়ান্ত নয়। এই বৈঠকে স্থির হবে আসন্ন নির্বাচনে কার কী দায়িত্ব থাকবে।

কমিটির নেতৃত্বে কি মুকুল রায়ই! জল্পনা
এদিনের বৈঠকে বাংলার রণনীতি স্থির হওয়ার পাশাপাশি বাংলার ভোটের জন্য কমিটি গড়ে দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এই কমিটির নেতৃত্বে কে থাকবেন, তা নিয়েই এখন জল্পনা তৈরি হয়েছে। মুকুল রায়ই এই কমিটির মাথায় থাকতে পারেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। বঙ্গ রাজনীতিতেও তা নিয়ে চর্চা চলছে।

মুকুল পদে না থেকেও নেতৃত্বে ছিলেন, এখন তো...
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন মুকুল রায়কে বাংলার নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় পদে অভিষিক্ত করা হয়েছে। ফলে তাঁকে বাংলার নির্বাচনের দায়িত্বে রাখা হবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। এর আগে কোনও দলীয় পদে না থাকেই বাংলার নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই কমিটি হয়েছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর লোকসভা নির্বাচনেও মুকুল রায় নির্বাচন কমিটির আহ্বায়ক পদে ছিলেন। এবং বাংলায় বিজেপিকে সাফল্য দিয়েছেন। তাউ ২০২১-এর কুরুক্ষেত্রে তিনিই মাথায় থাকবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কৈলাশকেও টেক্কা দিয়েছেন বাংলার ‘চাণক্য’ মুকুল
মুকুল রায় বর্তমানে পদাধিকারী হিসেবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়রও উপরে। মুকুল রায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি আর কৈলাশ বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবে মুকুল রায় এ ব্যাপারে বলেন, দল যা দায়িত্ব দেবে তা মাথা পেতে নেব। কারও নেতৃত্বে কাজ করতে আমার কোনও আপত্তি নেই।

মোদী-শাহ-নাড্ডাদের আস্থায় অভিভূত মুকুল
মুকুল বলেন, দলের সভাপতি কাল ডেকেছেন বৈঠকে। এটুকুই শুধু জানি। তারপর দল যা দায়িত্ব দেবে, তা পূরণ করাই আশু কর্তব্য বলে মানব। তিনি বলেন, বিমানবন্দরে নেমে যে সংবর্ধনা পেয়েছি, তাতে আমি আপ্লুত, আর বেশি কিছু চাই না। যে মর্যাদা আমাকে দেওয়া হয়েছে, তা কোনওদিনও ভুলব না। সবথেকে বড় কথা মোদীজি, অমিতজি, নাড্ডাজি আমার উপর আস্থা রেখেছেন।

জাতীয় রাজনীতিতেও প্রাসঙ্গিকতা পেলেন মুকুল
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার পর বুধবারই প্রথম দিল্লি গেলেন মুকুল রায়। তাঁর জন্য যে রাজকীয় সম্মান অপেক্ষা করে আছে, তা জানতেন না। কয়েকদিনের মধ্যে ছবিটা কেমন বদলে গেল। জাতীয় রাজনীতিতে তিনি ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠলেন। অদূর ভবিষ্যতে আরও বড় চমক থাকতে পারে তাঁর জন্য।
সুর বদল চিনের, জয়শঙ্কর-ওয়াংয়ের 'ফাইব পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা' মেনে ফের শান্তির বার্তা বেজিংয়ের
{quiz_369}