বিজেপি অবশেষে সাফল্য পেল বাংলায়! তৃণমূলের ঘুম ছুটিয়ে পুরস্কার পেতে চলেছেন মুকুল
এবার তিনি পরিবর্তনের মুখ হয়েছিলেন। চেয়েছিলেন ২০১৯-এই বিজেপিকে ফিনিশ করে দিতে। কিন্তু বিজেপিকে ফিনিশ করতে গিয়ে নিজেই বিপাকে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একটা সময়ে ছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড। কিন্তু দলনেত্রীর সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে দল ছেড়েছিলেন, যোগ দিয়েছিলেন বিরোধী শিবিরে। অচিরেই হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গ বিজেপির তুরুপের তাস। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দিয়েও আশাতীত সাফল্য পাচ্ছিলেন না মুকুল রায়। এতদিনে সেই সাফল্য ধরা দিল। এবার তিনি পুরষ্কৃত হতে পারেন। হতে পারেন মন্ত্রীও।
মুকুল রায় নেপথ্যে
এমনই হাওয়া উঠেছে এবার। মুকুল রায় নেপথ্যে থেকে বাংলায় বিজেপিকে সাফল্য এনে দেওয়ার কাজ করে গিয়েছেন। তাই এতদিন কোনও পদ না পেলেও এবার তাঁকে দেওয়া হতে পারে স্বীকৃতি বা পুরস্কার। এখন সর্বত্রই একটা কথা আলোচিত হচ্ছে, ২০১৪-তেও মোদী হাওয়া ছিল, তখন তো মাত্র ২টি আসনেই সীমাবদ্ধ ছিল বিজেপি। এবার কেন এত বাড়বৃদ্ধি! তবে কি মুকুল ফ্যাক্টরেই তৃণমূলে ভরাডুবি!
জঙ্গলমহলে সাফল্যের কারিগর
মুকুল রায়ের নেতৃত্বে পঞ্চায়েত ভোটে লড়েছিল বিজেপি। তৃণমূলের ভোট-সন্ত্রাস উপেক্ষা করেই জঙ্গলমহলে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন মুকুল রায়। তার পুরস্করা স্বরূপ লোকসভা নির্বাচনেরও দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। সেই সুযোগ সুদে-আসলে কাজে লাগালেন মুকুল রায়। উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে জঙ্গলমহলে ঘাসফুল মাড়িয়ে পদ্মফুল ফুটিয়ে দিলেন তিনি।
২ থেকে বেড়ে ১৮
বাংলা জুড়ে মোদী সুনামির জেরে এক ধাক্কায় বিজেপির আসন সংখ্যা বেড়ে ১৮ হয়েছে। লোকসভা ভোটের নিরিখে রাজ্যের ১২৯টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এবার বাংলা থেকে তৃণমূলকে হটিয়ে বিজেপির শাসন কায়েম করতে চায় গেরুয়া শিবির। সেই লক্ষ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন মোদী-শাহরা।
বিজেপির সংগঠন বৃদ্ধি তলে তলে
তার প্রাথমিক পদক্ষেপে বাংলা থেকে একাধিক মন্ত্রী করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় নাম থাকতে পারে মুকুল রায়েরও। কেননা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও মনে করছে, তলে তলে বিজেপির সংগঠন বাড়ানোর কাজ দারুনভাবে করে গিয়েছেন মুকুল রায়। স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী তাঁকে সাবাসী জানিয়ে গিয়েছেন। পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন। এবার তাই মুকুল রায় পুরষ্কৃত হতে পারেন।
আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী!
বিশেষ সূত্রের খবর, মুকুল রায় এবার বিজেপি সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন। প্রয়োজনে রাজ্যসভায় সাংসদ করে তাঁকে মন্ত্রী করা হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে। এতদিন মুকল রায়ের পরিচয় ছিল শুধু বিজেপি নেতা। তিনি এবার পেতে পারেন পদ ও পরিচিতি। আবার গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদও তিনি পেতে পারেন রাজ্যে।