মুকুলের ‘খেলা’ শুরু হুগলি জেলা পরিষদে, তৃণমূলে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে সহকারী সভাধিপতি
শুভেন্দু যখন মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যদের ভাঙিয়ে বিজেপির হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, তখন হুগলি জেলা পরিষদে থাবা বসালের মুকুল রায়।
শুভেন্দু যখন মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যদের ভাঙিয়ে বিজেপির হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, তখন হুগলি জেলা পরিষদে থাবা বসালের মুকুল রায়। মুকুল রায়ের হাত ধরে সোমবার বিজেপিতে যোগ দেন হুগলি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সুমনা সরকার। তাঁর সঙ্গে আরও দুই সদস্য যোগ দেন বিজেপিতে।
তৃণমূলের উপর চাপ সৃষ্টির খেলা মুকুল রায়ের
মুকুল রায় দাবি করেন, হুগলি জেলা পরিষদের আরও বেশ কয়েকজন সদস্য তৃণমূল ছাড়ার জন্য পা বাড়িয়ে আছেন। তাঁরা যে কোনওদিন বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন। এই জেলা পরিষদও তৃণমূলের হাতছাড়া হতে পারে বলে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন মুকুল রায়। মোট কথা, তৃণমূলের উপর চাপ সৃষ্টির খেলা চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি।
মালদহ জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে, দাবি শুভেন্দুর
এদিনই দলবদলের ধাক্কায় মালদহ জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে চলে এসেছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেগা যোগদান শেষে তিনি জানান, তৃণমূল ছেড়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল-সহ ১৪ জন সদস্য বিজেপিতে যোগদান করেন। তার ফলে ৩২ সদস্যের মালদহ জেলা পরিষদের বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেল।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদও বিজেপির দখলে এসেছিল
এর আগে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে এসেছিল। যদিও এই জেলা পরিষদ খুব বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। তা বিজেপির হাতছাড়া হয়ে ফের তৃণমূলের দখলে চলে যায়। এরপর বিধানসভা ভোটের মুখে উত্তরবঙ্গের আরও এক জেলা মালদহ জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে চলে আসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
হুগলি জেলা পরিষদেও ভাঙন তৃণমূলের
শুভেন্দুর হাত ধরে মালদহ জেলা পরিষদের সদস্যরা বিজেপিতে যোগদান করার দিনই, মুকুল রায় হুগলি জেলা পরিষদ থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করতে খেলা শুরু করে দিলেন। এদিনই হুগলির সিঙ্গুরের বিধায়ক মাস্টারমশায় রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁর যোগদানের পর হুগলি জেলা পরিষদেও ভাঙন ধরে যায়।