কাঁচরাপাড়ায় রেল অবরোধে ‘চক্রান্তে’র গন্ধ! মমতাকে কী ভাষায় বিঁধলেন মুকুল
কাঁচরাপাড়ায় রেল অবরোধ প্রসঙ্গ উঠতেই তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতার সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ শানালেন মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই তাঁর প্রথম সভার আগেই তৃণমূলকে বিরোধী নেতা হিসেবে কড়া আক্রমণ শানালেন মুকুল রায়। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সভায় আসতে তৃণমূল কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন মুকুল রায়। মুকুল রায়ের সুরেই সুর মেলালেন বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ও। কাঁচরাপাড়ায় রেল অবরোধ প্রসঙ্গ উঠতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ শানালেন মুকুল ও কৈলাশ।
শুক্রবার ধর্মতলায় দুপুর একটায় বিজেপির জনসভা। তার আগে দলীয় কর্মীরা মিছিল করে সভাস্থলে যোগ দিতে আসছেন। কিন্তু তাঁদের আসার পথেই বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। সভায় আসতে বাধা দেওয়ার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকার নানারকম পন্থা অবলম্বন করেছে। অভিযোগ, বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন অবরোধ করা হচ্ছে। বাসও আটকে দেওয়া হচ্ছে। চালানো হচ্ছে হামলা। হুমকি দেখিয়ে সমর্থকদের আসতে দেওয়া হচ্ছে না সভাস্থলে।
এদিন দমদম বিমানবন্দরে রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে নিতে আসেন মুকুল রায়। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুকুল রায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন। মুকুল রায় বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকার বিজেপি কর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। রেল অবরোধ করা হচ্ছে। পার্টি অফিস ভাঙা হচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়।'
এদিন ১২ বগির লোকালে কামরা বাড়ানোর প্রতিবাদে কাঁচরাপাড়া স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান পুরুষযাত্রীরা। এর ফলে শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। সকাল আটটায় ১২ বগির রানাঘাট-শিয়ালদহ লোকাল কাঁচরাপাড়া স্টেশনে তিনটি কামরা মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। তাতেই পুরুষযাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বিজেপি অভিযোগ করে, আসলে বিজেপি সমর্থকদের ধর্মতলার সভায় যাওয়া আটকাতেই এই অবরোধ করা হয়েছে। মহিলা কামরা বাড়ানোর প্রতিবাদ শুধু বাহানামাত্র।
রেল সিদ্ধান্ত নেয়, লোকাল ট্রেনে মহিলাযাত্রীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। সেই কারণেই কামরা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। পুরুষযাত্রীদের অভিযোগ, দুটি মহিলা কামরাই ফাঁকা যায়। অধিকাংশ মহিলা যাত্রীই সাধারণ কামরায় ওঠে। মহিলা কামরা বাড়িয়ে আদতে কোনও লাভ হবে না। ট্রেনে পুরুষ যাত্রীদের আরও বাদুরঝোলা হয়ে যেতে হবে।