‘উইকেটে টিকে থাকলে রান আসবেই’, তৃণমূলের ‘কৌটিল্য’ কৌশলী উত্তরে এড়ালেন বিতর্ক
ক্রিকেট ভালোবাসেন। মাঝেমধ্যেই তিনি উত্তর দেন ক্রিকেটীয় ভাষাতে। এখন তাঁকে নিয়ে যখন গুঞ্জন ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক মহলে, তিনি বাউন্সার সামলালেন দক্ষ ব্যাটসম্যানের মতোই।
তৃণমূলের 'কৌটিল্য' বলে তাঁর বিশেষ খ্যাতি ছিল। এখন সেই 'কৌটিল্য' পাঁকে পড়েছেন। তবু তিনি কৌশলী। কৌশলী উত্তর দিয়েই তিনি এড়িয়ে গেলেন যাবতীয় বিতর্ক। শনিবার বীজপুরের মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। সেখানে পোড় খাওয়া রাজনীতিকের মতোই মুকুল রায় ক্রিকেটকে হাতিয়ার করে উত্তর দিলেন যাবতীয় প্রশ্নের। তাঁর সাফ কথা, 'উইকেটে টিকে থাকলে রান এমনিতেই আসবে।'
[আরও পড়ুন:শরতেই ঝরছে মুকুল! মমতার চালে সাধারণ সৈনিকে পরিণত এককালের 'সেকেন্ড ইন কম্যান্ড']
ক্রিকেট ভালোবাসেন। মাঝেমধ্যেই তিনি উত্তর দেন ক্রিকেটীয় ভাষাতে। এখন তাঁকে নিয়ে যখন গুঞ্জন ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক মহলে, তিনি বাউন্সার সামলালেন দক্ষ ব্যাটসম্যানের মতোই। বললেন, 'তিনি টেস্ট ক্রিকেটের ভক্ত। কখনও-সখনও পিচ বুঝে উইকেটে টিকে থাকতে হয়। আর উইকেটে টিকে থাকলে রান আসতে বাধ্য।'
দল নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। একদিন আগেই তাঁকে সহ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু মাত্র ওই পদটিই শিবরাত্রির সলতের মতো জ্বলছিল। তাও চলে গেল। আর এখন পথে-ঘাটে যে এই একই প্রশ্নের মোকাবিলা তাঁকে করতে হবে, তা বেশ ভালোমতোই জানতেন মুকুল রায়। তৃণমূল যে তাঁকে ক্রমশ দূরে সরাচ্ছে, তা তো সবথেকে আগে টের পেয়েছেন তিনিই।
স্বভাবতই এদিন তাঁর দিকে ধেয়ে এসেছিল সেই প্রশ্নবাণ। তাহলে এরপর কোন পথে পা বাড়াচ্ছেন আপনি? তাঁর কৌশলী জবাব, 'এখন পুজো আসছে। বাড়িতেও পুজো হবে। সেসব নিয়েই ব্যস্ত আছি। ওসব নিয়ে ভাবছি না। তবে ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটটা খুব ভালোবাসি। আমি বিশ্বাস করি ক্রিজে টিকে থাকলে রান আসবেই।'
সেই সারদা মামলা থেকে মমতা-মুকুলের সম্পর্কে ফাটলের সূত্রপাত। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। মাঝে কিছুদিনের জন্য বরফ গললেও, ফের ফাটল বেড়েছে। সমস্ত পদ থেকেই অপসারিত হয়েছেন তিনি। অপ্রাসঙ্গিক হয়েও নির্লিপ্ত থেকেছেন। মাথা ঠান্ডা রেখে পরিকল্পনা কষে চলেছেন। এত চাপ সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত তৃণমূলের বিরুদ্ধে বা মমতার বিরুদ্ধে একটি শব্দও বের হয়নি তাঁর মুখ দিয়ে।