সিপিএমের বুলি মুকুলের গলায়, মমতার বিরোধিতায় সিদ্ধার্থ-জ্যোতিবাবুদের টানাটানি
মমতার ডান হাত বলে যিনি বঙ্গ রাজনীতিতে পরিচিত ছিলেন, সেই মুকুল রায়ই এখন তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন। শনিবার ফের জলপাইগুড়ির সভা থেকে মুকুল রায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলকে।
এতদিন সিপিএম যে ভাষায় আক্রমণ করে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, এবার সেই একই কথা শোনা গেল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের গলায়। মমতার ডান হাত বলে যিনি বঙ্গ রাজনীতিতে পরিচিত ছিলেন, সেই মুকুল রায়ই এখন তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন। শনিবার ফের জলপাইগুড়ির সভা থেকে মুকুল রায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলকে। বললেন, 'মমতার আমলে বাংলায় ফের সাতের দশক ফিরে এসেছে।'
মুকুল রায়ের অভিযোগ, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার চলছে একেবারে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের জমানার মতো। তাঁর কথায়, 'বর্তমানে রাজ্যের সরকার চলছে পুলিশকে দিয়ে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। বিরোধীদের শুধু মিথ্যে কেস দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সরকার সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের কালো জমানাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে আবার।'
এদিন জলপাইগুড়িতে পৌঁছে বিজেপির জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নেন মুকুল রায়। পুলিশকে দিয়ে এই বিরোধী নিধন যজ্ঞ বাম আমলেও হত না বলে তিনি ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, 'জ্যোতি বসুর আমলে ভোট করা না গেলেও বাংলায় রাজনীতি অন্তত করা যেত। এখন সেই রাজনীতিও করতে দেওয়া হচ্ছে না। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে নেওয়া হচ্ছে।'
মুকুল বলেন, 'শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশও মানছে না এই সরকার। সম্প্রতি যুব মোর্চার মিছিলে শাসক দল যথেচ্ছ আক্রমণ চালিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে মিছিলের তদারকিতে আসা পর্যবেক্ষককে পর্যন্ত ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা। আসলে তৃণমূল ভয় পেয়েছে বিজেপিকে। বাংলার মানুষকেও আর বিশ্বাস করতে পারছে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।'
মুকুল রায় এদিন বিজেপি-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, 'চোখের জল ফেলার দিন শেষ হয়েছে। এবার চোখে চোখ রেখে লড়াই করতে হবে। তৃণমূল শাসনের অবসান ঘটিয়ে নবজাগরণ ঘটাতে হবে বাংলায়। পরিবর্তনের পরিবর্তন আশু প্রয়োজন। তবেই বাংলায় ফের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে। তাই চোখের জল মুছে এবার জবাব দেওয়ার পালা। তৃণমূলের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দিতে হবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই। তারপর ২০১৯-এই তৃণমূলকে মোক্ষম ধাক্কাটা দিতে হবে।'