তৃণমূল চোরের দল! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মমতার সরকারকে নিশানা মুকুল রায়ের
বিজেপির পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মুকুল রায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে দলীয় সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে চোরের দল বলে আক্রমণ শানান।
পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই তাঁর প্রাক্তন দল তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণ তীব্র করছেন মুকুল রায়। বিজেপির পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মুকুল রায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে দলীয় সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে চোরের দল বলে আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, 'এই দলটা স্রেফ তোলাবাজির উপর টিকে রয়েছে।'
[আরও পড়ুন:এনডিএ ছাড়ল এক শরিক, পা বাড়িয়ে আরও এক, চাপ বাড়ছে বিজেপির]
একটা সময়ে এই দলটাকেই যক্ষ্মের ধনের মতো আগলেছেন মুকুল রায়। এখন সেই দলকেই তিনি চোরের তকমায় বিঁধছেন। কিন্তু কেন তিনি তৃণমূলকে এখন চোরের দল বলছেন? তার ব্যাখ্যা ও দিয়েছেন বিজেপিতে যোগ দেওয়া মমতার প্রাক্তন সেকেন্ড আর্মি। মুকুল রায় বলেন, 'এই দলটা এখন কৃষক থেকে শুরু করে শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী- কাউকেই রেয়াত করে না। যাঁরা পয়সা দেবে, তাঁরাই শুধু এই দলে গুরুত্বের জায়গা পায়। আর যাঁরা পয়সা দিতে পারে না, তাঁরা ব্রাত্য। মোট কথা কিছু পেতেয় গেলে ককিছু দিতে হবে- এই নীতি নিয়েই চলছে তৃণমূল।'
একদা তৃণমূলের 'নাম্বার টু' হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। সেই 'নাম্বার টু' এদিন বলেন, 'টাকা দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। আর রাজ্যের কাজ হচ্ছে শুধু প্রকল্পের নাম বদলে তা নিজের বলে চালানো। সেইমতোই 'ন্যাশনাল রুরাল লাইফহুড মিশনে'র নাম বদলে গিয়েছে এ রাজ্যে। তা এখন 'আনন্দধারা' নামে চালাচ্ছে মমতার সরকার। একইভাবে 'স্বচ্ছ ভারত মিশন'কে পরিবর্তন করে করা হয়েছে 'মিশন নির্মল বাংলা'। আর 'প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা'কে 'বাংলা গ্রামীণ সড়ক যোজনা' করা হয়েছে। 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা'রও নাম পরিবর্তবন করে 'বাংলার গৃহ প্রকল্প' করা হয়েছে।
মুকুল রায়ের অভিযোগ, কেন্দ্রের টাকা চুরি করতেই এই নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে রাজ্যে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রের অনুদান ঠিকই পাচ্ছে, প্রকল্প পরিবর্তন করে দেখানো হচ্ছে টাকা সম্পূর্ণ রাজ্য সরকার দিচ্ছে। এই নিয়েই কেন্দ্রের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংঘাত তৈরি করছে রাজ্য। আর সংঘাত তৈরি করে রাজ্যকে রসাতলে পাঠাচ্ছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। তাই অবিলম্বে এই রাজ্যে পরিবর্তন জরুরি। আর তার সূচনা করতে হবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই, বলেন মুকুলবাবু।