বিধায়ক খুনে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গ্রেফতার ২
কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খুনে গ্রেফতার করা হয়েছে কার্তিক মণ্ডল এবং সুজিত মণ্ডলকে। শনিবার রাতের এই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্য়জিৎ বিশ্বাস খুনের এফআইআর-এ মুকুলর রায়ের নাম নথিভুক্ত করল পুলিশ। নদিয়া পুলিশ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। এছাড়়াও এই খুনের ঘটনায় আরও ৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে কার্তিক মণ্ডল এবং সুজিত মণ্ডলকে। শনিবার রাতের এই খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে হাঁসখালির ওসি অনিন্দ্য বসু এবং দেহরক্ষী প্রভাস মণ্ডলকে। ঘটনাস্থলে সিআইডি দলের পাশাপাশি যাচ্ছে ফরেনসিক দলও।
বিধয়ক খুনে তাঁর নাম যেভাবে জড়়ানো হচ্ছে তাতে ক্ষুব্ধ মুকুল রায়। গোটা ঘটনাকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা। শনিবার রাতেই এই খুনের ঘটনার পর থেকে মুকুল রায়ের নামে অভিযোগ করেন নদিয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত। তাঁর অভিযোগ ছিল আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কে বিজেপি-কে ফায়দা তুলে দিতে মুকুল রায়ের ষড়যন্ত্রে সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুন করা হয়েছে। কারণ কৃষ্ণগঞ্জ এলাকায় সত্য়জিৎ মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের মুখ ছিলেন। মুকুল রায়-কে দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন গৌরীশঙ্কর দত্ত। যদিও, প্রথম থেকেই এই অভিযোগ উড়িয়ে আসছে বিজেপি।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, পিছন দিক থেকে সত্যজিৎ-কে প্রথমে গুলি করা হয়। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে একাধিক গুলি চালানো হয়। শনিবারেই ঘটনাস্থলে থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করছে। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রটি ফরেনসিকে পাঠানো হচ্ছে। রবিবার ঘটনাস্থলে তদন্তে যাচ্ছে সিআইডি এবং ফরেনসিক দল।
ইতিমধ্যেই ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে হাঁসখালির ওসি অনিন্দ্য বসু এবং দেহরক্ষী প্রভাস মণ্ডলকে। দেহরক্ষী কেন শনিবারেই ছুটি নিয়েছিলেন, তার জন্য বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বিধায়ক সত্যজিত বিশ্বাসের পরিবারের তরফে অভিযোগ, বিজেপিই এই খুনের সঙ্গে জড়িত। মৃতের স্ত্রীও একই অভিযোগ করেছেন। একটি গরির পরিবারকে শেষ করে দিতে চক্রান্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।