মুকুল-শুভেন্দু মিলে তৃণমূলকে হোয়াইট-ওয়াশের পরিকল্পনা করছেন! চ্যালেঞ্জের মুখে পিকে
তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন একে অপরের 'প্রতিপক্ষ' ছিলেন তাঁরা। এমনকী শুভেন্দুকে নিয়ে যে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৃণমূলে থাকাকালীন, তা স্বীকার করতেও দ্বিধা করেননি মুকুল রায়। এবার শুভেন্দুকে দলে টেনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল মুকুল রায়। তাঁরা এবার তৃণমূলকে হোয়াইটওয়াশের পরিকল্পনা করছেন।

অবিভক্ত মেদিনীপুরের ৩৫টি আসনেই জয়যুক্ত হব
শুভেন্দু অধিকারী অমিত শাহের হাত ধরে মেদিনীপুরের সভায় গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তারপর তিনি একে একে জনসভা করে চলেছেন। এমনই এক জনসভায় তিনি বলেন, তৃণমূলকে হারাবই হারব। আমরা জিতবই। তারপরই হুঙ্কার ছাড়েন অবিভক্ত মেদিনীপুর থেকে আমরা ৩৫টি আসনেই জয়যুক্ত হব। ৩৫-০ করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ।

মুকুল রায়ের সঙ্গে ২০২১ নির্বাচনের কৌশল নিয়ে শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির সভার আগে গিয়েছিলেন মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। আসন্ন ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয় উভয়ের। যদিও তাঁরা কেউই স্বীকার করেননি, যে রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বরং নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল বলে ব্যাখ্যা করেন তাঁরা।

তৃণমূলকে হোয়াইট ওয়াশ করে ছাড়বেন মুকুল-শুভেন্দু
কিন্তু শুভেন্দুকে বিজেপিতে টেনে মুকুল রায় যে মমতার বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে চাইবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোই উভয়ের উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে তাঁরা ময়দানে নেমে পড়েছেন। শুভেন্দু হুঙ্কার ছেড়েছেন অবিভক্ত মেদিনীপুররে তৃণমূলকে হোয়াইট ওয়াশ করে ছাড়বেন।

পিকেকে ধরাশায়ী করার পরিকল্পনা মুকুল-শুভেন্দুদের
শুভেন্দুর কথায়, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় তৃণমূল একটি আসনও পাবে না। মুকুল রায় পুরো জঙ্গলমহলে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করতে চাইছেন। আর দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলির মধ্যে পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও বাঁকুড়া তৃণমূলকে হারানোর চ্যালেঞ্জও নিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। নদিয়ায় তৃণমূল একটা আসনেও জিতবে না বলে দাবি মুকুলের।

একুশে তৃণমূলকে সুবিধা করতে দেবে না দুই প্রাক্তনী
পড়ে থাকছে দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতা। তার মধ্যে আবার উত্তর ২৪ পরগনার একাংশের তৃণমূল দাঁত ফোটাতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুকুল রায়। আর মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেসের আধিপত্য। সেখানে অধীরের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই হলে ফায়দা লুটবে বিজেপি। তৃণমূল সুবিধা করতে পারবে না।

২০০-র বেশি আসন নিয়ে বিজেপির ক্ষমতায় আসা পাকা!
আর দিলীপ ঘোষ থেকে মুকুল রায়- বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছে উত্তরবঙ্গে তাঁরাই আবারও বিজয়ী হবে। ৫০টিরও বেশি আসনে জিতবে তারা। মোট ৫৪টি আসনের মধ্যে দু-একটা ছিটকে গেলেও বিজেপির উদ্দেশ্যে ২০১৯ লোকসভার মতো তৃণমূলকে উত্তরবঙ্গ থেকে হোয়াইওয়াশ করা। তাহলেই ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বিজেপির ক্ষমতায় আসা পাকা হয়ে যাবে।