বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূলের দুই সবথেকে হেভিওয়েট আজও পদহীন! চর্চা মিশন একুশে
বিজেপিতে যোগ দেওয়া তৃণমূলের দুই সবথেকে হেভিওয়েটই পদহীন! চর্চা মিশন একুশে
২০১৭ থেকে বাংলায় বাড়বাড়ন্ত শুরু বিজেপির। ত্রিপুরা-জয়ের পর মোদী-শাহরা টার্গেট করেছে বাংলাকে। আর তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই গেরুয়া শিবিরে সংগঠন বাড়তে থাকে। ২০১৬-তেও বিজেপি সেভাবে বিস্তার লাভ করতে পারেনি। কিন্তু তার দু-বছর পর পঞ্চায়েতে এবং তিন বছর পর লোকসভায় বিজেপিই দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে।
বিজেপি বাংলার দ্বিতীয় শক্তি হেভিওয়েটদের যোগদানে
বিজেপি ইতিমধ্যে কংগ্রেস ও সিপিএমকে সরিয়ে অলিখিত দ্বিতীয় শক্তি হয়ে গিয়েছে বাংলায়। ২০১৮ ও ২০১৯-এর নির্বাচন তাদের প্রধান বিরোধী দলের তকমা এনে দিয়েছে। মুকুল রায়ের যোগদানের পর দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বাংলায় এগিয়েছে বিজেপি। আর সবথেকে বড় কথা মুকুলের হাতে ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অনেক হেভিওয়েট।
বিজেপির জার্সি পরা তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট পদহীন
এখন বিজেপির জার্সি পরা তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট হলেন অবশ্যই মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেই তারাই বিজেপিতে বিপাকে পড়ে রয়েছেন। আজও তারা পদহীন। বিজেপি মুকুলের অনুগামী বা অন্য দল ছেড়ে আসা নেতাদের পদ দিলেও, ব্রাত্য রয়ে গিয়েছেন মুকুল রায়। ব্রাত্য শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি তো আবার কোথাও নেই, আছেন রাজনৈতিক অন্তরালে।
তিন বছরে বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য
মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন প্রায় তিন বছর হতে চলল। ২০১৭ সালের নভেম্বরে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এটা চলছে ২০২০-র সেপ্টেম্বর। আর মাত্র দু-মাস পরই তাঁর বিজেপিতে যাওয়ার তৃতীয় বর্ষপূর্তি হবে। এখনও তিনি কোনও পদ পাননি। তিনি বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কেবল।
কখনও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী, কখনও সাংসদ বা কেন্দ্রীয় পদ!
মুকুল রায়কে নিয়ে বারেবারে জল্পনা চলেছে। কখনও শোনা গিয়েছে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হবেন। কখনও শোনা গিয়েছে তিনি হবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আবার কখনও শোনা গিয়েছে, তাঁকে কেন্দ্রীয় কমিটির কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হতে পার। কিন্তু সাংসদ-মন্ত্রী বা সংগঠনের কোনও পদই তাঁর পাওয়া হয়নি আজও।
শোভন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অন্তরালে
আবার শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নিজেকে অন্তরালে রেখেছেন। তিনি আজও সক্রিয় হননি বিজেপিতে। দলও তাঁকে কোনও পদ দেয়নি। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য কমিটিতে রদবদল হয়েছে। কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কোনও পদই দেওয়া হয়নি। তিনি পদ পাননি, কিন্তু এক বছর হল রয়ে গিয়েছেন বিজেপিতে।
কলকাতার মেয়র পদপ্রার্থী আবার একুশের প্রার্থীও!
তাঁর নিষ্ক্রিয় অবস্থায় অবশ্য তাঁকে কলকাতা পুরসভার মেয়র পদপ্রার্থী করার প্রস্তাব এসেছে। তা নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। কিন্তু শোভন নির্লিপ্ত থেকে গিয়েছেন। এখন আবার তৃণমূল ও বিজেপির দড়ি টানাটানির মধ্যে তাঁর গুরুত্ব বাড়ানোর কথা শোনা যাচ্ছে। কোনও বড় পদ মিলতে পারে, সেইসঙ্গে বিজেপিতে সক্রিয় হলে তাঁর প্রার্থী হওয়া পাকা নিজের কেন্দ্র বেহালা পূর্বে।
প্রশান্ত কিশোরকে রুখবেন কে! মুকুল রায়কে মাথায় রেখেই কৌশল রচনা অমিত শাহের