মুকুল-দিলীপের মতানৈক্যে দোটানায় বিজেপি, কলকাতা পুরভোটে লড়াই কোনপথে
মুকুল-দিলীপের মতানৈক্য প্রবল, কলকাতা পুরভোটে বাজি জিততে দোটানায় বিজেপি
সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। আর তারপরই ফের পুরসভা ভোটের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে মুকুল রায়কে। অর্থাৎ দিলীপ ঘোষ সভাপতি হলেও আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি লড়াই করবে মুকুল রায়ের নেতৃত্বে। বঙ্গে বিজেপির সেই দুই মুখ তথা দুই শিবিরের পক্ষ থেকে এবার দুই মত প্রকাশ করা হল প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে। তা নিয়েই বিজেপি বিপাকে পড়েছে।
দ্বিধাবিভক্ত গেরুয়া শিবির
আসন্ন কলকাতা পুরভোটে কাকে প্রার্থী করলে বিজেপি লাভবান হবে, সেই প্রশ্ন এখন দ্বিধাবিভক্ত গেরুয়া শিবির। বিজেপি এখনও স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি, ভোট টানতে কাদের উপর ভরসা করবে তারা। বিজেপিতে এখন দ্বন্দ্ব, কে হবেন পারের কর্তা। ভোট টানতে তারকা-মুখ, নাকি পোড় খাওয়া রাজনৈতিক নেতাদেরই প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে চলছে চাপানউতোর।
তারকা প্রার্থী নাকি পোড় খাওয়া রাজনীতিক
বিজেপিতে একটা পক্ষ চাইছে, তারকা প্রার্থী করে পুরসভা ভোটে তৃণমূলকে মাত দিতে। আর একটা পক্ষ চাইছে ২০২১ বিধানসভা ভোটের দিকে চেয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরই প্রার্থী করতে। এখন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপির নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং নির্বাচন কমিটির প্রধান মুকুল রায় এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষণ করেছেন।
বিজেপি শিবিরে দু’প্রকার ভাবনা
গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির একদল তারকা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সম্প্রতি। আসন্ন পুরভোটে তাঁদের প্রার্থী করে ফায়দা তোলা অনেক সহজ হবে বলে বিজেপির একটা বড় অংশ মনে করছে। দিলীপ ঘোষের শিবিরও মনে করেন, এই ভাবনা একেবারেই অমূলক নয়। তারকা প্রার্থী করতে মানুষের কাছে পৌঁছনো অনেক সহজ হবে।
নির্বাচন কমিটির প্রধান মুকুলের মত
কিন্তু বিজেপিতে তা নিয়ে চরম মতানৈক্য বিরাজ করছে। এই কৌশলকে আমল দিচ্ছেন না নির্বাচন কমিটির প্রধান নির্বাচিত হওয়া মুকুল রায়। তিনি চাইছেন হেভিওয়েট নেতাদের প্রার্থী করতে। বড় নাম এনে তিনি চমকে দিতে চান আসন্ন পুরভোটে। ঠিক এমনটাই তিনি করেছিলেন তৃণমূলের হয়ে ২০১০ সালে।
তৃণমূলে যা করেছিলেন, বিজেপিতেও
তৃণমূল সেবার পুরভোটে প্রার্থী করেছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েটদের। বিজেপিতেও তিনি সেই স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করতে চাইছেন। তার কারণ বিজেপির জন্য তাঁরা লড়াই করছেন দীর্ঘদিন ধরে। রাজনীতির জগতের মানুষকে প্রতিনিধি হিসেবে পেয়ে আস্থা পাবেন পুরবাসী।
গেরুয়া শিবিরের বড় অংশের মত
কিন্তু গেরুয়া শিবিরের বড় অংশের ধারণা, রাজনৈতিক নেতাদের তুলনায় রুপোলি পর্দার তারকা অঞ্জনা বসু, কাঞ্চনা মৈত্র, রূপাঞ্জনা, মিত্র, রূপা ভট্টাচার্য, সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়, রিমঝিম মিত্র থেকে শুরু করে পার্নো মিত্র, ঋষি কৌশিকের মতো খ্যাতনামাদের নামালে ভোটে জেতা অনেক সহজ হবে।