মুকুলের সঙ্গে বোঝাপড়া তৃণমূলের! নইলে উভয়েই এত ‘নরম’ কেন, প্রশ্ন রাজ্য-রাজনীতিতে
মুকুল রায়ের সঙ্গে কি একপ্রকার বোঝাপড়া হয়েই গিয়েছে তৃণমূলের? নইলে উভয়পক্ষই এত নরম কেন? কই, আগের মতো রণং দেহি মুর্তিতে তো দেখা যাচ্ছে না মুকুল রায়কে বা তৃণমূলকে।
মুকুল রায়ের সঙ্গে কি একপ্রকার বোঝাপড়া হয়েই গিয়েছে তৃণমূলের? নইলে উভয়পক্ষই এত নরম কেন? কই, আগের মতো রণং দেহি মুর্তিতে তো দেখা যাচ্ছে না মুকুল রায়কে বা তৃণমূলকে। আইনি ব্যবস্থার ক্ষেত্রেও মুকুল রায়ের প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছে তৃণমূল। আর তৃণমূলকে আগের মতো আক্রমণ শানাচ্ছেন না মুকুলও!
তৃণমূলের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হতে দেখা যায়নি মুকুলকে
করোনাকালে মুকুল রায়কে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হতে দেখা যায়নি। মুকুল রায়কে সেভাবে দেখা যায়নি বিজেপির কোনও অনুষ্ঠানেও। সম্প্রতি কৈলাশ বিজয়বর্গীয় রাজ্যে আসার পর মুকুল রায়কে দু-একটি কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে জঙ্গলমহলে গিয়ে খানিকটা সরব হন মুকুল রায়।
তৃণমূলের প্রতি নরম মনোভাব মুকুলের, কেন
মুকুল রায় যে বিজেপিতে থেকেও তৃণমূলের প্রতি নরম মনোভাব দেখাচ্ছেন, তার ফলও পেলেন হাতেনাতে। সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় চার্জশিটে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম থাকলেও, মুকুল রায়ের নাম অভিযুক্ত হিসেবে রাখা হয়নি। তাঁকে রাখা হয়েছে সন্দেহভাজন বলে।
এক যাত্রায় পৃথক ফল! ডাল মে কুছ কালা হ্যায়
সিআইডি এখনও মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য সময় চেয়েছে। আর আদালত এ জন্য তিন মাস সময় মঞ্জুর করেছে। সিআইডির এহেন নরম মনোভাবে রাজনীতিতে অন্য গন্ধ পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজনৈতিক মহলে তাই চর্চা শুরু হয়েছে, এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় কী করে! তবে কি ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।
তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ বলে বারেবারে গুঞ্জন
সূত্রের খবর, বিজেপিতে কাজের পরিসর পাচ্ছেন না মুকুল রায়। তাই নিজেকে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। মুকুলবাবু নিজেও বেশ অস্বস্তিতে আছেন বলে বিশেষ সূত্র জানাচ্ছে। এই অবস্থায় বারেবারে তাঁর পুরনো দল তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তবে মুকুল রায় বা তৃণমূল কারও তরফই এই জল্পনা নিয়ে কোনও সমর্থ দেয়নি।
বিভাজন ও পরস্পরের প্রতি সন্দের তৈরির চেষ্টা তৃণমূলের
তবে দিল্লিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ভোট যত এগিয়ে আসছে, আমাদের দলের মধ্যে বিভাজন ও পরস্পরের প্রতি সন্দের তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। তাঁরা এভাবে বিভাজনের রাজনীতি করে আমাদের মনোবল ভাঙাল চেষ্টা করছে। সরাসরি রাজনীতি ছেড়ে তৃণমূল এই কূটকৌশল অবলম্বন করেছে। তাঁর এই মন্তব্যে গোটা বিষয়টি এক অন্য মাত্রা পেয়েছে।
দিলীপবাবু কি চান মুকুল রায়ের নাম চার্জশিটে থাকুক!
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পর তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করেন, দিলীপবাবু কি চান মুকুল রায়ের নাম তৃণমূল বিধায়ক খুনের মামলায় চার্জশিটে থাকুক। মুকুল রায় তো সারদা-নারদ মামলাতেও সন্দেহভাজন, এখনও অভিযুক্ত নন। দিলীপবাবুর এ কথা্ও কিন্তু জেনে রাখা উচিত।
প্রভুভক্তি থাকে, প্রভু সরকার চলে যায়! কটাক্ষ মুকুলের
মুকুল রায়ও এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, সত্যজিৎ বিশ্বাস খউনের মামলায় আদৌ চার্জশিটে আমার নাম আছে, কি নেই, কেন সন্দেহভাজন হিসেবে আমার নাম রাখা হয়েছে, এসব কিছুই আমি জানি না। তবে এটুকু বলতে পারি, পুলিশ-প্রশাসন যতই প্রভুভক্তি দেখাক, একদিন প্রভু সরকার চলে যায়।